‘একজন ফুটবলার যখন মাঠে নামে, সে তার সব অতীত পেছনে ফেলেই নামে। তার সামনে তখন একটা ফুটবল, ওটাই তখন তার দুনিয়া। মাঠে নেমেই কিন্তু সে সব শোক ভুলে যায়। আমি চাই, তুমিও শোক ভুলে যাও, অন্তত প্রিয় কাজের ভেতর থাকার সময়টুকুর জন্য।’
হঠাত্ই কেমন ওলটপালট হয়ে যায় সদ্য বাবা হারানো অর্পার জীবন ও জগত্। চড়াই-উতরাইয়ে ভরা টালমাটাল একটি সময় তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু জীবন সম্পর্কে তার ভিন্নধারার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায় না তাতে। শেফ বা রাঁধুনি—আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যে পেশাটিকে ভালোবেসে গ্রহণ করতে চায় না সচরাচর, সেটিকেই আঁকড়ে ধরতে চায় অর্পা—এমনকি মায়ের প্রবল অসম্মতি সত্ত্বেও। ঘটনাক্রমে জীবনের অমসৃণ যাত্রাপথেও এগিয়ে যাওয়ার একটি উপলক্ষ তার সামনে আসে। কী সেই উপলক্ষ? নতুন এই যাত্রায় সুদর্শন ও বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ আবিরের আকস্মিক আবির্ভাব ও তিরোধান কী ভূমিকা রাখে? সবকিছু ছাপিয়ে অর্পা কি পারবে তার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যেতে?
রাহিতুল ইসলাম
রাহিতুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।