রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ছিলেন একটি ছায়াবৃক্ষ। এই বিশাল বৃক্ষের বিস্তৃত ছায়ায় দীর্ঘ বিশ্রাম নিতে পেরে অনেকে ধন্য হয়েছেন। কেউ কেউ নিজেকেই একটি বৃক্ষরূপে দাঁড় করাতে পেরেছেন। এমন করে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বৃক্ষ, তৈরি হয়েছে অপরিমেয় ক্ষেত্র জুড়ে সুশীতল ছায়া। দাদাভাই ছিলেন আমাদের চেতনার অন্ধকারে একটি আলোবিন্দু। এই ক্ষুদ্র আলোর ঝলকানিতে সকল অন্ধকার হারিয়ে গিয়ে ধবধবে ফরসা হয়ে উঠেছে আমাদের স্বপ্নের বাগান। চারদিকে অসংখ্য ফুল মিষ্টি সৌরভ বিলিয়ে বেড়াচ্ছে ফুরফুরে হাওয়ায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে দাদাভাই পরিচালিত ‘কচি-কাঁচার মেলা’ নামক ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে। কচি-কাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শিশুদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ব্যাপারে অবদান রেখে চলেছে। এই মেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল শিশুই আদর্শের মূলমন্ত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে। হয়তো সে কারণেই দাদাভাই গর্বের সাথে উচ্চারণ করেছেন, কচি-কাঁচার মেলার সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছে, কিন্তু কেউ রাজাকার হয়েছে বা পাকিস্তানি সেনাদের দোসর হয়েছে এমন রেকর্ড নেই। এই দৃপ্ত উচ্চারণ দিয়ে দাদাভাই দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা বলতে চেয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, তাঁর শিক্ষা শুধু দেশ গড়ার, মানুষ গড়ার।