ড্রোনে হোম ডেলিভারির জমানায় নীরাজনা কেন চিঠি লিখছে। বারো বছর পরে শহরেই বা কেন ফিরল প্রিয়ন্তন। কেনই বা তাকে শহর ছাড়তে হয়েছিল। কাকতালীয় ভাবে হলেও প্রিয়ন্তনই বা কেন চিঠি লিখে পাঠাচ্ছে সুদূর জার্মানির ব্রাইট গ্রুম নামের একটি ওক গাছের ঠিকানায়। একই ঠিকানায় কী লেখে দুজন চিঠিতে? একে অপরকে ভালোবাসার কথা? নাকি এই চিঠি দুজন যুবক যুবতীর ভালোবাসা জীবনের চাওয়া পাওয়া, ইচ্ছে আকাংখা, পাওয়া না পাওয়ার সফর? সুমেলিই বা কেন চায় দুজনকে মিলিয়ে দিতে। সমসময়ে ঘটতে থাকা সাইকো সিরিয়াল কিলিংয়ের সঙ্গে কি করেই বা জড়িয়ে যায় নীরাজনা। মৃতের কোমরে নীচে দুধারে কেনই বা এক্স মার্ক খুদে দেয় খুনি। কেনই বা চলে আসে ‘ফেমে ফেটেলে’ ‘বি ডি এস এম’ ইত্যাদি নারকীয় যৌন নিপীড়ন ও অ্যামবিডেক্সটার, অ্যামবিস্নিস্টার, এই নাম দুটি? কেনইবা এর সঙ্গে জড়িয়ে যায় নীরাজনা? একদিকে দুরন্ত প্রেম ও তার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়া নানা রকম প্রীতিকর অপ্রীতিকর ঘটনা অন্যদিকে নারকীয় খুনের কিনারাই মূলত এই গ্রন্থের বিষয়।