ওমর খৈয়াম একাধারে জ্যোতির্বিদ, গণিতজ্ঞ, দার্শনিক ও কবি ছিলেন। সবকিছু ছাড়িয়ে ‘রুবাইয়াৎ’ লিখে তিনি মানুষের হৃদয়ে আসন গাড়লেন, যদিও কবিতায় সবচেয়ে কম সময় দিয়েছেন। প্রেয়সীকে পেয়েও না পাওয়ার বেদনায় লীন হয়েছিলেন। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিত। তাঁর যুগের তুলনায় অগ্রগামী ও মুক্তচিন্তার অধিকারী ছিলেন। বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে ও যুক্তি দিয়ে সবকিছু বুঝতে চাইতেন। আর এ কারণেই তিনি ধর্মীয় গোঁড়াদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন।
ওমর খৈয়াম পারস্যের দুজন বিখ্যাত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছিলেনÑ সুলতান মালিক শাহ এবং তাঁর উজির নিজাম-উল-মুলক। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি নিবেদিতভাবে জ্ঞানচর্চা করতে পেরেছিলেন।
ওমর তাঁর জীবদ্দশায় যুগ সন্ধিক্ষণ প্রত্যক্ষ করেছেন। দেখেছেন জ্ঞানভিত্তিক যুক্তিতর্ক এবং সৃজনশীলতার ক্ষয়িষ্ণু পরিণতি। চোখের সামনে দেখলেন তাঁর প্রিয় ‘মানমন্দির’ ধর্মান্ধরা পুড়িয়ে ফেলছে...। ভস্মীভূত হলো তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু, বই, পাণ্ডুলিপি। মানুষের ভৎর্সনা ও পরবর্তী জীবনে অর্থকষ্ট তাঁর হৃদয়ে রক্ত ঝরিয়েছিল।