“অহিংসা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
“অহিংসা” প্রথম প্রকাশিত হয় সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-সম্পাদিত ‘পরিচয়’ পত্রিকার মাঘ ১৩৪৫ সংখ্যা থেকে পৌষ ১৩৪৭ সংখ্যা পর্যন্ত, ধারাবাহিকভাবে। ১৯৩৯ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স একতিরিশ, বিয়ে করেছেন তার আগের বছর, পিতা ও ভ্রাতাদের সঙ্গে একান্নবর্তী সংসারে থাকেন, মৃগী রােগের শিকার, ১লা জানুয়ারিতে ‘বঙ্গশ্রী’ পত্রিকার চাকরি ছেড়েছেন, স্থাপন করেছেন একটি প্রেস ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। সে-বছরই সাময়িক পত্রিকায় বেরিয়েছে তার “সহরতলী” উপন্যাস; তার আগে পার হয়ে এসেছেন “দিবারাত্রির কাব্য”, “পুতুলনাচের ইতিকথা”, “পদ্মানদীর মাঝি” | প্রভৃতি বিখ্যাত ও অসামান্য উপন্যাসের জগৎ (মােট ছ-টি উপন্যাস); প্রকাশিত হয়েছে চারটি গল্পগ্রন্থ। “অহিংসা” গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হতে আর একটু দেরি হয় ১৯৪১ সালে, ডি.এম. লাইব্রেরি থেকে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯মে ১৯০৮ সালে বিহারের দুমকা শহরে জন্ম। অঙ্কে অনার্স নিয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ১৯২৮ সালে লিখে ফেললেন প্রথম গল্প অতসী মামী। প্রকাশিত হল ‘বিচিত্রা পত্রিকায় এরপর মাত্র ২১ বছর বয়সে উপন্যাস দিবারাত্রির কাব্য’। আলােড়ন পড়ে যায়। এরপর এক-এক করে অনেক লিখেছেন। তার মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণীয়—পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা, জননী, স্বাধীনতার স্বাদ ইত্যাদি। উল্লেখযােগ্য গল্পগ্রন্থ—প্রাগৈতিহাসিক, আজ কাল পরশুর গল্প, ছােট বকুলপুরের যাত্রী। বৈজ্ঞানিক মতাদর্শে দীক্ষিত এই কথাশিল্পী সারাজীবন চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সাহিত্য-সাধনা ছিল জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কোথাও কখনও আপােস করেননি। প্রয়াণ ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬।