ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ রিপোর্টারের জীবন বহুরৈখিক। কিন্তু একুশ শতকের মিডিয়া একরৈখিক; তার সবটাই প্রচারিত বা প্রকাশিত হয় না। ‘অফ দ্য রেকর্ড’ বলে সত্যকে গোপন রাখার প্রহসনও মিডিয়াস্বীকৃত। কিন্তু ঐ গোপন সত্যটুকুও সাধারণ মানুষ জানতে চান; পড়তে চান। কম রিপোর্টারই তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। না পারার অন্যতম কারণ আজকের মিডিয়া অনেকার্থেই ক্ষমতা ও পুঁজির দাস। এই দুই পরাশক্তিকে উপেক্ষা করে সব সত্য উদ্ঘাটনের উপায় রিপোর্টারেরও নেই। মিডিয়াদূরস্থ সেই সব গোপন সত্যগুলোকে ফাঁস করে দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন পীর হাবিবুর রহমান তাঁর অফ দ্য রেকর্ড বইয়ে। ২০০৩ সালে দেশের প্রচারশীর্ষ একটি জাতীয় দৈনিকে লেখাটির অংশবিশেষ প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সাড়া পড়েছিল। ক্ষুব্ধও হয়েছিলেন কেউ কেউ। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু পীর হাবিবুর রহমান তাতে দমেননি। বরংসেই লেখায় না যতখানি, তাঁরও বেশি সত্য নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি তার বইটিতে। আর তাই,শুধু এরশাদই নন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক বিখ্যাতরই বিমূর্ত সংবাদ মূর্তিমান ধরা পড়েছে তাঁর কলমে। তারই পরিপার্শ্বে এসেছে লেখকের প্রিয় জনপদ সুনামগঞ্জের স্মৃতিময় অভিজ্হতাও। আর এতসব কারণেই স্বদেশ-সমকালের এক সত্যানুসন্ধানী প্রামাণ্য দলিল- অফ দ্য রেকর্ড।