'অদ্বিতীয়া' মিশু মনি'র লেখা বাংলা ভাষায় প্রথম মেয়েদের বিবিধ সমস্যা, স্বপ্ন, ব্যক্তিত্ব ও ক্যারিয়ার নিয়ে আত্মউন্নয়নমূলক বই।
একজন মেয়ে ঘর সংসার করবে, স্বামী ও সন্তানের দেখভাল করবে এবং দামী গয়না ও নিত্যনতুন সাজপোশাক কিনবে- প্রচলিত এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে একবিংশ শতাব্দীতে নিজের বলার মতো একটা পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে অদ্বিতীয়া বইটিতে। নারীরাও তার ব্যক্তিত্ব, তার একাগ্রতা, মেধা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পুরুষের পাশাপাশি দেশ ও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য যেকোন কাজ করতে পারে, লেখাপড়া শেষ করে ভালো ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারে কিংবা উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা করতে পারে- তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
স্বামী বা পরিবারের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হয়ে, নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন একজন মেয়ে। মেয়েদের শক্তি আছে, আছে কাজ করার সামর্থ্য। শুধু দরকার একটুখানি মনোবল ও অনুপ্রেরণা। লেখিকা এরকম কয়েকজন সফল বাঙালি নারীর গল্প বলেছেন বইতে- যা পড়ে অন্যরাও উৎসাহী হবেন। 'রূপবতী নয় রমণী, গুণবতী হও' 'গায়ের রঙ নয়, গায়ের শক্তি দেখাও' 'সংসারে বোঝা নয়, সংসারে সহযোগী হও' 'অন্যের পরিচয়ে পরিচত নও, নিজের পরিচয় তৈরী করো'- এরকম অনেক অধ্যায়ে সাজানো অদ্বিতীয়া বইটি।
আমাদের বিশ্বাস- নয় কোটির অধিক নারীরা যদি এগিয়ে যায়, তাহলে এগিয়ে যাবে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
মিশু মনি
মিশু মনি। প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মেয়েটি দূরন্তপনা ও উচ্ছলতার আরেক নাম। কথা শিল্পের মাধ্যমে অন্যকে একটি কল্পনার জগতে প্রবেশ করানোর মত গুনাবলি থেকেই লিখালিখিটা নেশা হয়ে যায় তার। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে জন্ম নেয়া এই মেয়েটি কৈশোরেই তার ব্যক্তিত্বের মাধুর্য দ্বারা অন্যকে আকৃষ্ট করতে থাকে৷ বাবার নাম মোঃ দুলাল ও মাতা মতিজান বেগম। রংপুরের ছায়াঘেরা গ্রাম "দেবী চৌধুরানী" তে জন্ম গ্রহণ করে শৈশব ও কৈশোর সেখানেই অতিবাহিত করেন। ২০১৬ সালে "চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়" থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১৮ সালে "খাদিজা আবেদীন চৌধুরানী কলেজ" থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মানবসেবা করার প্রবল ইচ্ছা তার রক্তে আন্দোলন তোলে৷ এ লক্ষ্যে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বর্তমানে তিনি "কক্সবাজার নার্সিং ইন্সটিটিউট" এ শিক্ষাগ্রহণ করছেন। সদ্য তারুণ্যে পা রাখা স্বনির্ভর এই নারী স্বপ্ন দেখেন সকল অসহায় নারীদের পাশে থেকে তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে দেয়ার৷ যার জীবনের মূলধারা হচ্ছে, সংগ্রাম, দেশপ্রেম, পরোপকারিতা ও ভালোবাসা দিয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটানো৷