উপন্যাস সারসংক্ষেপ: মানুষ মূলত সেফটিপিনের মতো। ভালোবেসে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চায়। অবুঝ সেফটিপিনে সেরকম কয়েকজন মানুষের বয়ান। অবুঝ সেফটিপিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বাবা আলম সাহেব। যিনি মনে মনে ঠিক করেন, একদিন রাজপথের মাঝখানে বসে থাকবেন, কিছুতেই উঠবেন না। মেয়ে মধুরিমা। সুন্দরী। কারাতে (কধৎধঃব) জানে। ছেলে অরিত্র অর্ক। যে কিনা মাথার ভেতর স্বপ্ন বোঝাই ঝুঁড়ি নিয়ে পথ হাঁটে। স্বপ্ন দেখে সুসং নগরে ওর একটা চায়ের দোকান হবে। নাম দেবেÑঅর্ক টি-স্টল। অবুঝ সেফটিপিনের বাসিন্দাদের আরেক পাশে আছে মিতু। যাকে প্রতিদিন জীবনের পথে ছুটতে হয়, ভেসে যেতে হয় চোরাগলির অন্ধকারে। অবুঝ সেফটিপিনের পাতা জুড়ে আছে গ্রাম থেকে আসা ইকবাল। ইকবালের মা ছেলেকে শহরে পড়তে আসতে দিতে চাননি, ভার্সিটিতে মারামারি আর গোলাগুলির ভয়ে। একদিন ইকবাল প্রেমে পড়ে। শহরে বিলবোর্ডের মডেলদের মুখে পছন্দের মানুষটির মুখের ছায়া দেখতে পায়। মেয়েটি সে খবর জানে না। তারপর একদিন মেয়েটি ইকবালকে বলে, তুমি আমার ওড়নার অবুঝ সেফটিপিন।