বারাক ওবামা-এক প্রবল পরাক্রমশালী বিশ্ব-ব্যক্তিত্ব। ওবামা আজ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর শীর্ষে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নন, নানা কারণে তিনি আজ বিশ্ব-রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্রমেই এক অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে পরিণত। সেই ওবামা-প্রসঙ্গই দেওয়ান শামসুল আরেফীন একজন সমাজতাত্ত্বিকের দৃষ্টিতে দেখবার প্রয়াস পেয়েছেন তাঁর এই সংকলিত-গ্রন্থের রচনাগুলোতে। লেখক মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (সর্বশেষ) নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে ওবামার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মতবিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুলেছেন এই গ্রন্থটিতে। ওবামার রাজনৈতিক জীবনদর্শনে ও কর্মকাণ্ডে যে আব্রাহাম লিংকন, ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, জন এফ কেনেডি এবং সর্বোপরি সমাজতন্ত্রের গুরু কার্ল মার্কসের মতো সুমহান ব্যক্তিত্বদের প্রভাব বর্তমান--তার প্রতি পাঠকসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আগ্রহ বোধ করেছেন লেখক। দেওয়ান শামসুল আরেফীনের তথ্যসমৃদ্ধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে ঋদ্ধ ওবামা? গ্রন্থটি শুধু বারাক ওবামাকেই নয়, বরং সেইসূত্র ধরে হালআমলের বিশ্ব-রাজনীতির প্রেক্ষাপটও বোঝার জন্য সত্যিই উপযোগী নির্দ্ধিধায় বলা যায়।
দেওয়ান শামসুল আরেফীন
দেওয়ান শামসুল আরেফীন, সমাজবিজ্ঞানী। তিনি নিউ জার্সির রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্ব বিভিাগের অনিয়মিত অধ্যাপক। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাসরত। নিউ ইয়র্কের বাংলা সাপ্তাহিক ঠিকানার একজন নিয়মিত লেখক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক আরেফীন এক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনূদিত মায়া এঞ্জেল্যু, ল্যাংষ্টন হিউগস প্রমুখের কবিতা বাংলাদেশের বিচিত্রাসহ আমেরিকার অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক আমারদেশ-এ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক বাংলা গ্রন্থকে Twenty Years After the Genocide in Bangladesh নামে অনুবাদ করেছেন। আরেফীন উত্তর আমেরিকার ‘ফোবানা’র (FOBANA) কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউ জার্সির প্রাক্তন সভাপতি (1989-90, 1990-91, 1993-94, 2002-03) এবং মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশন, ইউ.এস.এ-এর সভাপতি। দেওয়ান শামসুল আরেফীন সাপ্তাহিক ঠিকানার ‘শ্রেষ্ঠগ্রন্থ পুরস্কার 200 ‘ পান।