বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে-এ দুটি নাম, দুটি শব্দ একে অপরের পরিপূরক, যা আজ ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। একটি ছাড়া আন্যটি যেন মূল্যহীন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে মহানায়ক, তিনি বঙ্গবন্ধু, আমাদের জাতির জনক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশেই বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একাত্তরে, দেশ স্বাধীন করতে, স্বাধিকার রক্ষায়। এক সাগর রক্তের বিনিমযে ছিনিয়ে এনেছিল মহার্ঘ স্বাধীনতা। আবার সেই স্বাধীন ভূমিতেই জাতির জনককে খুন হতে হলো কিছু ক্ষমতালোভী স্বাধীনতাবিরোধী পাপিষ্টের হাতে। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু বাঙালি জাতির হৃদয়ের আসন থেকে সরাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু যে সেখানে অমর, অক্ষয়, অবিনশ্বর। শত অপচেষ্টা করেও বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠা থেকে কি তাকে আলাদা করা গেছে? ছড়ায় বঙ্গবন্ধু, কবিতায় বঙ্গবন্ধু, গানে বঙ্গবন্ধু। শিল্প, কাব্য, সাহিত্য, পালাগান কোথায় নেই বঙ্গবন্ধু? বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ ও বাঙালি যতদিন থাকবে, বঙ্গবন্ধুও ততদিন বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন স্বমহিমায়।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণকারী শীর্ষেন্দু ১৯৫৯ সালে দেশ পত্রিকায় তার প্রথম গল্প *জলতরঙ্গ* প্রকাশ করেন। সাত বছর পর একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তার প্রথম উপন্যাস *ঘুণ পোকা* প্রকাশিত হয়। শিশুদের জন্য লেখা তার প্রথম উপন্যাস ছিল *মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি*, এবং তার সৃষ্ট অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র হলো শবর দাশগুপ্ত।