ফিরোজের ভেতরে লুকানো ছিল ভবিষ্যৎ অরোরার উজ্জ্বল দ্যুতি। সবার অলক্ষ্যে ঘুঙুরের চোখেই ধরা পড়েছিল তা। তাই তো ভার্সিটির তুখোড় মেধাবী ছাত্রী ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী ঘুঙুর অনায়াসে প্রেমে পড়েছিল চালচুলোহীন ভবঘুরে চিত্রশিল্পী ফিরোজের। হ্যাঁ, পথের ভিন্নতা থাকলেও তাদের স্বপ্নগুলো মিলেছিল একটি প্রত্যাশিত গন্তব্যে। প্রজাপতির পাখার মতই রঙিন আর দুরন্ত তাদের প্রেমের প্রকাশ। মানসিক নির্ভরতায় হয়ে উঠেছিল একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। ফিরোজের সান্নিধ্যে স্নিগ্ধ ঘুঙুর যেন মেঘমুক্ত আকাশের সাতরঙা রংধনু। নির্লিপ্ত জীবনেও সে তার সব আয়োজনের সমর্পণ করে ফিরোজের কাছে সর্বোচ্চ বিশ্বাসে। আর ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের আত্মাহুতি দিয়ে ফিরোজও তার চলার পথকে করেছিল ঘুঙুরের কেন্দ্র ঘিরে বৃত্তবন্দী। সামাজিকতার ব্যবধান প্রেমের অতিসাধারণ বাধা। এতে উত্তরণের মানসিক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও কেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল সারা জীবন িএক হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দুটি পবিত্র প্রাণ? সর্বোচ্চ শ্রদ্ধায় লালন করা ভালোবাসার প্রকৃতি কেন উন্মোচিত হয়নি এতটুকু অবহেলায়? কেন সোনালি স্বপ্নগুলো জড়িয়ে গেল চোখের জলের রুপালি কারুকাজে? তবে কি গন্তব্যের পথে অপ্রত্যাশিত বাঁক নেয়াই জীবনের ধর্ম? এরকম অনেক প্রশ্ন-উত্তর, বাস্তবতার নির্মম অাঁচড়, আবেগের বাড়াবাড়ি, ইতিবাচক প্রেমের উস্কানি নিয়ে অসাধারণ রোমান্টিক একটি কাহিনী নোঙ্গর নোনাজলে। প্রচ্ছদে রেখাচিত্রে কাহিনী চিত্রায়িত করছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী।
পারভিন আক্তার
জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার পলাশে। পিতা আব্দুর রশিদ, মাতা রেজিয়া বেগম। সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে আইনে পড়াশোনা। অতঃপর শিক্ষায় স্নাতকোত্তরসহ এমফিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে আইন পেশার পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ স্বপ্ন খোঁজার বাতিঘর এবং প্রথম উপন্যাস নীল টিপ। এ ছাড়া পত্রপত্রিকায় গল্পসহ সমাজ সচেতনতামূলক, আইন বিষয়ক, নারী উন্নয়ন এবং রাজনীতিমনস্ক লেখালেখি করে থাকেন।