কাহিনী ইশারা 'য়েমন মুলুকে ছিল শাজাদা হাতেম,-নেকনাম! নিল সে দারাজ-দিল মানুষের বোঝা শুরুভার! ছেড়ে এল তাজ তখ্ত্, এল ছেড়ে ঐশ্বর্য, আরাম; মহান খিদ্মতগার পেল প্রীতি, খ্যাতি সে অপার আরবে নৌফেল শাহা প্রতিদ্বন্দ্বী সে যশলিপ্সায় বিলালো ভাণ্ডার, তবু পেল না যে সম্মান দাতার। নেমে গেল প্রাণ তার অন্ধ হিংস্র রাত্রির ছায়ায়; আশ্চর্য পন্থায় শাহা পেল শেষে মুত্তির দূয়ার।
বিগত দিনের স্বর্ণ ও রাত্রির নিকষে অস্লান জাগায় ভোরের স্বর্ণ ও রাত্রির নিকষে অম্লান জাগায় ভোরের স্বর্ণ ও ক্লান্ত ক্ষণে উজ্জ্বল জরীন, শ্রান্তির আঁধার চিরে ওঠে জেগে মানুষের গান, ঝঞ্চা-ঝড়ে, ঘূর্ণাবর্তে ওঠে জেগে আশা অমলিন। বহু শতাব্দীর ঢেউ সে কাহিনী হয়ে এল পার ’য়েমনী হাতেম আর বলদর্পী নৌফেল বাদশার।
ফররুখ আহমদ
কবি ফররুখ আহমদ আমাদের সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ কাব্যব্যক্তিত্ব। অসামান্য এই কবির প্রথম উত্থান তিরিশের দশকের মধ্যভাগে, তিনি চল্লিশের দশকের কবি হিশেবেই সর্বজন পরিচিত, ঐ দশকের একজন প্রধান কবি উত্থান কলকাতায়। বুদ্ধদেব বসু-সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় লিখেছেন, কলকাতায় আরাে অনেক পত্রপত্রিকায় লিখতেন। সওগাত, মােহাম্মদী, বুলবুল ইত্যাদি পত্রিকায় লিখতেন। লিখতেন অঝােরে সুকান্ত ভট্টাচার্যসম্পাদিত আকাল পত্রিকাতেই ফররুখ আহমদের প্রথম কবিতা সংকলিত হয়। প্রেমেন্দ্র মিত্রসম্পাদিত প্রেম যুগে যুগে কবিতাসংগ্রহে তাঁর কবিতা গৃহীত হয়। আবদুল কাদির ও রেজাউল করীম সম্পাদিত কাব্য-মালঞ্চে তাঁর কবিতা গৃহীত হয়। ভূমিকায় বিশাল গুরুত্ব দেওয়া হয় তাকে। আকাশবাণী থেকে কবি আবদুল কাদির তার সম্পর্কে একক কথিকা সম্প্রচার করেন। নবীন কবি ফররুখ আহমদ নামে প্রথম গ্রন্থই সাত সাগরের মাঝি ফররুখ আহমদকে খ্যাতিমান করে তােলে। জীবকালে মাত্র ছয়টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু প্রত্যেকাটি নতুন পদক্ষেপ। বর্তমান সংগ্রহে তাঁর জীবকালে প্রকাশিত সবগুলি একত্রগ্রথিত হলাে প্রথমবারের মতাে।