নারী পুরুষের সহোদরা। দায়িত্ব ও অধিকারের মূল দর্শনে তারা এক। ইলম তন্মধ্যে অন্যতম। নরনারী উভয়েই ইলমের মুখাপেক্ষী। দুনিয়া-আখেরাতের সমূহ লাভ ও ক্ষতির প্রশ্ন জড়িয়ে আছে ইলমের সাথে। তাই নারীকেও ইসলাম ইলমের পথে অবস্থান করতে জোড়ালো আহ্বান জানিয়েছে, ফরজ করেছে তার ওপর ইলমশিক্ষা। ইসলামের প্রধান উৎস কুরআন ও হাদিস উভয়ই নারীর ইলমি পথের উৎসাহ এবং উক্ত পথ সুগম করার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নবিযুগ ইসলামের প্রধান সময়। সে যুগের সব কিছুই মুসলিম উম্মতের প্রকৃত আদর্শ। তাই আমরা অত্র আলোচনায় ইলমের ময়দানে নবিযুগের নারীর চিত্র, বৈশিষ্ট্য ও চমৎকারিত্ব উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। দেখাতে চেষ্টা করেছি, নবিযুগের নারী ইলমকে কেমন আপন করে নিয়েছিল, কীরূপ গুরুত্ব ছিল তাদের ইলমের প্রতি। সমাজ, সংসার, লজ্জার বাধা তাকে ইলম অর্জনের পথ থেকে দূরে রাখতে পারেনি। আখেরাতের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে সে তার অগ্রগণ্য চাহিদা পূরণে সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা ব্যয় করেছিল। এমনকি তার অধ্যবসায় তাকে পৌঁছে দিয়েছিল জগতের ঈর্ষা ভরা চাহনির আসনে।
সংক্ষেপে বইটিতে একে একে পাবেন ইলমের পরিচয়, গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের বর্ণনা, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর ইলম শিক্ষা ও তার দ্বীনের দীক্ষার বিষয়ে কতটা যত্নবান ছিলেন আর এজন্য কী কী পথ অবলম্বন করেছিলেন, আরও পাবেন স্বয়ং নারী ইলমের ব্যাপারে কতটা উদগ্রীব ছিল আর তার প্রচেষ্টা তাকে কতটা অনন্য করে তুলেছিল, পাবেন নবিযুগের আলেমা মুহাদ্দিসা ফকিহা নারীদের ইতিবৃত্ত, পাবেন মুসলিম মনীষী ও ভাষ্যকারগণের বক্তব্য, মন্তব্য ও ব্যাখ্যার অপূর্ব এক সমাহার।