নব্বুয়ের গণ অভ্যুত্থানের এক দিকে রয়েছে জনমতের জয় অন্য দিকে স্বৈরশাসনের পরাজয়। শাসক যদি অত্যাচারী হয় তা হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় তার হাত থেকে অব্যাহতির পথটি হচ্ছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তার অপসারণ।
কিন্তু যেখানে নির্বাচন হয় না, জোর করে ক্ষমতা দখল করে একদল শাসক নির্বাচনের নামে প্রহসনের সৃষ্টি করে এবং নিজেদের জবরদখলকে বৈধ করে নেয় সেখানে পরিবর্তনের আর কোনো উপায় থাকে না, পাল্টা অভ্যুত্থান ভিন্ন। জবরদখল একটি অভ্যুত্থান, গোপনে, জনগণের অভ্যুত্থানও একটি অভ্যুত্থান, প্রকাশ্যে। একটির চরিত্র ষড়যন্ত্রের, অপরটির আন্দোলনের। জবরদখল ঘটে রাজপ্রাসাদে, গণ অভ্যুত্থান রাজপথে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ জুন ১৯৩৬, বাড়ৈখালী, বিক্রমপুর) একজন প্রখ্যাত অধ্যাপক ও সাহিত্যিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক সম্মান (১৯৫৫) ও স্নাতকোত্তর (১৯৫৬) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (১৯৬৮) সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রফেসর এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে প্রবন্ধ-গবেষণা, ছোটগল্প, উপন্যাস ও অনুবাদ, যেমন "অন্বৈষণ" (১৯৬৪), "শেষ নেই" (২০০৪), "এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব" (১৯৭২) এবং "হোমারের ওডেসি" (১৯৯০)। তিনি লেখক সংঘ পুরস্কার (১৯৭৫), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৬), একুশে পদক (১৯৯৬) সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।