ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ভার্সিটি পড়ুয়া দুই তরুণী-কাজল ও রাত্রি। দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব। তবে কাজল পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। সে পুরুষদের ঘৃণা করে। এর জন্য দায়ী হচ্ছে, কাজলের বাবা। তারই নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়ে কাজলের মা মারা গেছে কাজলের ছোটবেলায়। তাই যখন ভার্সিটি পড়ুয়া এক তরুণ রাজন, প্রেমে পড়ে কাজলের এবং তাকে বিয়ে করতে চায়, তকন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কাজল। রাজন এই বিয়ের প্রস্তাব নিজে নয়, রাত্রির মাধ্যমে দিয়েছিল। রাত্রিরই প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রাজনকে বিয়ে করতে রাজি হয় কাজল। তবে একটি শর্ত, আর তা হচ্ছে-রাজন কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। এদিকে বিয়ের রাতে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে রাত্রি। কেননা সে মনে মনে ভালোবাসে রাজনকে। হাসপাতালে ডাক্তারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রাত্রি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসে। তারপর ভার্সিটি জীবন শেষে রাত্রি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার একটি স্কুলে চাকরি নিয়ে দিনাজপুরে যায়। অন্যদিকে সিলেটে নিজেদের চা-বাগানে স্ত্রী কাজলকে নিয়ে বাস করতে থাকে রাজন। তারপর? কাজল কি স্বাভাবিক হয়? স্বাভাবিক দাম্পত্যজীবনে প্রবেশ করে? রাত্রির-ই বা কী হলো/ তার সঙ্গে কি রাজন ও কাজলের আর দেখা হয় নি.....?