নিতু, তােরা আমার সম্পর্কে কেউ কিছুই জানিস না। কিছুই না। বিশ্বাস রাখলে বলতে পারিস। আই প্রমিজ, স্টোরি উইল বি হিডেন। বলার কিছু নেই। নতুন কিছুই না। এটা তাের-আমার সবার গল্প। আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমার এক মামা থাকতেন বাসায়। প্রায়। আপন। একদিন বাসায় কেউ নেই... রাফিয়া কাঁদতে লাগল। হাউমাউ করে। বাচ্চা মানুষের মতাে। আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমার চোখের চেয়ে, শরীর ভিজে আসতে লাগল থর থর উত্তেজনায়। আমি বললাম, থাক রাফিয়া। বলতে হবে না। অ্যান্ড আই রিয়ালাইজ।
রাফিয়া কাঁদতেই থাকল। জানিস নিতু, আমি তিনদিন তিনরাত ব্যথায় স্কুলে যেতে পারিনি। বিছানা থেকে নড়তে পারিনি। কিন্তু সে ঘটনা আমি কাউকে বলিনি। কাউকে না। এখনও সে মামা আসে। মামীসহ বেড়িয়ে যায়... আমি দু’কানে আঙুল দিয়ে চিৎকার করে উঠলাম, স্টপ রাফিয়া। স্টপ। প্লিজ স্টপ।
তৌহিদুর রহমান
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। বাবা এম.এ. মজিদ সরকার, মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বােনের মধ্যে সবার ছােট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। বিচরণ লেখক হিসেবে। স্বপ্ন দেখেন দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। কুড়িগ্রাম জেলার নিভৃত গ্রাম মধুপুরের আপন আঙিনায় তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার।
লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে । উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, ছড়া, ছাপা হতাে বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় দৈনিকে। লেখক হিসেবে প্রাপ্ত পদকগুলাের মধ্যে বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, দেওয়ান হাছনরাজা, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখ্য। উল্লেখযােগ্য প্রাপ্ত সম্মাননা: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, ইউনাইটেড টেলিফিল্ম, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার।
উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করলেও কবিতা, ছােটগল্প, শিশু-কিশাের সাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।