শ্রীরামচন্দ্র গ্লাস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে শ্রীরাম আবাসনের বিজ্ঞপ্তি। বন্ধ কাচকলের শ্রমিক বৈরাগী মন্ডল বিজ্ঞপ্তি দেখেছিল প্রথম। সে ভাবত কাচকল বন্ধ হয়ে আছে বটে, কিন্তু খুলবে নিশ্চয়। কবে খুলবে তার খোঁজে কলকাতার আলিপুরে মালিকের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিল সে। গিয়ে ফিরে এসেছিল। সে এখনো ঘুমের ঘোরে শেষ রাতে কারখানার সাইরেন শুনতে পায়। কারখানার প্রাচীরের ভিতরে ছিল যে নিম গাছ, তার ফুলের গন্ধ টের পায় চৈত্র সন্ধ্যায়। সবই ঠিক আছে, শুধু বড় বড় তালা খুললে হয়। আবাসনের কাজ আরম্ভের আগে বকেয়া পাওনা মেটাতে এসেছিল ক্তৃপক্ষ। নিরীহ শ্রমিক বৈরাগী বুঝতে পেরেছিল না খুলে টাকা দিয়ে দেওয়া মানে কারখানা আর খুলবে না। সেই রাতে পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু পরে বলে বৈরাগীকে তোলেইনি। এই উপন্যাস সেই সত্য অনুসন্ধানের এক হৃদয় বিদারক বৃত্তান্ত।
অমর মিত্র
জন্ম ৩০শে আগস্ট, ১৯৫১। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সন্নিকটে ধুলিহর গ্রামে। রসায়নে স্নাতক। ভারতের বাংলা সাহিত্যের গুণী ও খ্যাতিমান লেখক। স্বদেশযাত্রা গল্পের জন্য ১৯৯৮ সালে সর্বভারতীয় কথা পুরস্কার পেয়েছেন। কথা' প্রকাশিত গত শতাব্দীর নব্বই দশকের সেরা ভারতীয় গল্প হিসেবে সংকলিত স্বদেশযাত্রা গল্পটি। এ ছাড়া ২০০২ সালে হারানাে নদীর স্রোত গল্পের জন্য আনন্দ-স্রোসেম সম্মান পান। ২০১১ সালে গল্পের জন্য পেয়েছেন। প্রতিদিন-বর্ণ পরিচয় সম্মান। ২০১০ সালে। পেয়েছেন ‘মিত্র ও ঘােষ প্রকাশন প্রদত্ত গজেন্দ্রকুমার মিত্র ও সুমথনাথ ঘােষ সম্মান। পেয়েছেন সমরেশ বসু পুরস্কার, অমৃতলােক পুরস্কার। লেখক অশ্বচরিত উপন্যাসের জন্য ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার এবং ধ্রুবপুত্র উপন্যাসের জন্য ২০০৬ সালে পেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্যের সম্মান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।
তিনি কিশাের এবং শিশুসাহিত্যেরও গুণী লেখক। তার লেখার ভেতরে কিশােরমন এমন এক আশ্চর্য জগতের সন্ধান পাবে, যা শাশ্বত। গল্পের তিনি জাদুকর। গল্পের জাদু এই দশটি গল্প পাঠ করলে পাঠক অনুধাবন করবেন। অমর মিত্রর কিশাের গ্রন্থের সংখ্যা সাত। নিয়মিত কিশােরসাহিত্য রচনা করেন বড়ােদের জন্য লেখার পাশাপাশি। তার গল্পের দশটি মণি ও মুক্তো এই গ্রন্থে সংকলিত হলাে।
Title :
নিরুদিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি (পেপারব্যাক)