মৃত্যু নিশ্চিত করতে ডান পাশের বুক বরাবর ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। বেশ কবার আঘাত করলেও কোনো রক্তের ছিটেফোঁটাও বের হচ্ছে না। কি করে বের হবে? শরীরের সব রক্ত তো শেষ হয়ে গেছে। শিস বাজিয়ে লোকটা চাকুতে লেগে থাকা রক্তের ঘ্রাণ নিতে নিতে আনোয়ার হোসেনের টেবিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ একটি ডায়েরি তার চোখে পড়লো। রক্ত মাখা হাত, নিজের জামায় মুছে ডায়েরিটি হাতে নিতেই সামনে এলো, আনোয়ার হোসেনের লিখা অতীতের দিনগুলোর ইতিহাস। লোকটি বেশ সময় নিয়ে ডায়েরি পড়ছে। আনোয়ার হোসেনের ডায়েরি লিখার অভ্যেস ছিলো। লোকটি শেষের খালি পৃষ্ঠাগুলোতে কিছু লিখে যাচ্ছে। ভোরের আলো ফুটবে। বাহিরে পাখিদের কিচিরমিচির শোনা যাচ্ছে। ভোরের পাখিরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। লোকটা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার বাড়ির সদর দরজা ব্যবহার করেই বের হচ্ছে। হাতে করে ডায়েরিটি নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলো, কিন্তু হুট করে বাহিরে গাছের আড়ালে ফেলে চলে যায় ডায়েরিটি।