ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এন জুলফিকার কবি। আপাদমস্তক কবি। কিন্তু সাহিত্যের আরো অনেক প্রান্তরে মগ্ন থাকার ফলে ইদানীং তাঁর কবিসত্তার পরিচয়টাই আমরা ভুলে যেতে বসেছি। এখন তাঁর কবিতার চেয়ে বেশি আলোচিত হয় সম্পাদিত পত্রিকা ‘দীপন’ । কিন্তু তাঁর আত্নদীপের প্রজ্জলনভূমিতে নিয়মিত কবিতার চাষ হয়। তারই প্রকাশ ঘটেছে এই কাব্যগ্রন্থে । ‘ভালো আছো ৩০ নভেম্বর?’ থেকে দশ বছর পরে বেরোনো ‘নির্জনে, ফ্রেমের ছবিকে’ কাব্যে কবির এক নতুন আবির্ভাব। শীলনপর্বের স্বাভাবিক সীমাবদ্ধতা ঝেড়ে তিনি এখন সংহত কবিপ্রতিভা। একেবারেই নিজের সুর নিজের ভাষা খুঁজে নিয়ে এন জুলফিকার রচনা করেছেন নিটোল সব কবিতা। তাঁর কবিতায় দুর্বোধ্যতার বাহাদুরি নেই, পাণ্ডিত্য ফলানো অপচেষ্টাও নেই। তাঁর কবিতায় আছে হাজার বছরের বাঙলা কবিতার ঐতিহ্যর পথে ধারাবাহিক শুদ্ধতা। বারোয়ারি,ভুল লোক, অচেনা অসুখ ডিঙিয়ে কবি তাই প্রাকৃত শকড়গুলোর সন্ধানে মগ্ন থাকেন । জেনে নেন ঘুলঘুলির বুড়ো শাকিলের কাছে জমে উঠছে কতটা কবিতাকে গৌরব দান করেছে। এন জুলফিকার তাঁর সময়ের মেধাবী ও অগ্রণী কবিদের একজন, এই কাব্য তারই সাক্ষ্য বহন করছে।