ডামিতে কোনো জারণ-বিজারণ নেই। লাবণ্যেরও কোনো বালাই নেই। থাকবেই বা কেনো। এটা তো একটা জড়পদার্থের রূপমাত্র। এতে নেই অনন্ত আপেল, নেই অফুরান প্রাণ। শুধু আছে নৈঃশব্দ্য। এ কারণেই হয়তো বায়ারদের এতে এতো অরুচি। তাদের লাইভ মডেল চায়। একজন নয়। অনেক। যেখানে হৃদয়ের মাঠঘাট থাকা, জানা জরুরি নয়। প্রয়োজন দেহের সঠিক নানান পথঘাট। মাপজোক ঠিকঠাক থাকা চাই। বুকের মাপ, কোমরের বিস্তৃতি, হিপ, ঊরুদেশ। আরামসে যেন তাতে গেলানো যায় একেকটা পোশাক। কখনও আউটওয়্যার, কখনও বা ইন্টিমেট কাপড়গুলো। এরপর ডিএসএলআর ক্যামেরার লেন্সে ফেলে যেন তোলা যায় একেকটা ছবি। ক্লিক, ক্লিক, ক্লিক। ডিজাইনার আর আলোকচিত্রী গভীর মনোযোগে এভাবেই ছবি তুলে। অন্তঃগঙ্গার ঢেউয়ে মাঝে মাঝে যেন তাদের হাত কেঁপে ওঠে। কখনো কখনো লো জিএসএমের কাপড় ভেদ করে অজানাগাঙের, আপেলের হদিস পেয়ে ফুটো হওয়া বেলুনের মতো চুপসে যায় তারা।
নিজেকে সামলে আবার শুরু হয় মিশন। লাস্যময়ী নারীর ছবি তুলতে প্রস্তুত থাকে আধুনিক বলবান ছবিখোর। ক্যামেরার আলোর উৎসবে অল্প সময়ের জন্য তারা ঢেকে ফেলে মডেলদের জীবনের অন্ধকার। অহনাও এসবের সাথেই এখন নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে...