সরদার ফারুকের পয়ত্রিশ বছরের কবিতা জীবন, যার ফলশ্রুতি এখন অব্দি প্রকাশিত আটটি কাব্যগ্রন্থ সম্বন্ধে কথাগুলি প্রবলভাবে সত্যি। দার্শনিকতায়, যাপনে , অমোঘ শব্দ চয়নে, এই অমিত শক্তিশালী এবং একই সঙ্গে মৃদু ও মিতভাষী কবি নান্দনিকতার দাবীতে নিজেই কবিতা হয়ে উঠেছেন। যেহেতু যে কোনো ধরনের সামাজিক ক্ষমতাকেন্দ্রই মানুষের জীবনের সৃষ্টিশীলতা ও সৌন্দর্যের বিপরীতমুখী, প্রকৃত কারুবাসনা-উন্মুখ এই কবির অবস্থানও ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে বহুদূরে- প্রায় সমাজপ্রান্তে। মায়াময়, করুণাঘন, তীব্র সংরাগী, কখনো বা তির্যক ব্যঙ্গাত্মক, জীবন ও ইতিহাসবোধে উন্মুল ও জাগ্রত এই কবিকে পাঠ করা, এই অস্থির সময়েও যেকোনো পাঠকের কাছেই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে ‘নির্বাচিত কবিতা’ এখুনি কেন? আরো কত কিছু বাকি রয়ে গেলÑ এগিয়ে পিছিয়ে খেলা, অনেক নতুন করে শুরু, নতুন করে ছাড়া, নতুন বাঁক, ‘লুপ্ত নাসপাতি’র গন্ধ, ধুলোর ওপরের ধুলো, মাটির ওপরের মাটি, ছড়িয়ে-পড়া অর্জমা, পরাবাস্তব এক অলৌকিক আলো।