মাহবুব সাদিক (২৫শে অক্টোবর ১৯৪৭), জন্ম টাঙ্গাইলের আইসড়ায়। সা’দত কলেজে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছেন। পিএইচ.ডি. করেছেন বুদ্ধদেব বসুর কবিতার বিষয়ে। প্রথম জীবনে যুক্ত ছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। শোষিত মানুষের জন্য লড়েছেন। একাত্তরে করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। ষাট দশকের গোড়া থেকেই কবি হিসেবে খ্যাতি; কবিতা ছাড়াও লিখেছেন ছোটগল্প, উপন্যাস, ছড়া, কিশোর কবিতা ও উপন্যাস এবং প্রবন্ধ। মাহবুব সাদিকের প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা পঁয়ত্রিশেরও বেশি। একালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবিরূপে চিহ্নিত মাহবুব সাদিক বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত।
ফররুখ আহমদ
কবি ফররুখ আহমদ আমাদের সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ কাব্যব্যক্তিত্ব। অসামান্য এই কবির প্রথম উত্থান তিরিশের দশকের মধ্যভাগে, তিনি চল্লিশের দশকের কবি হিশেবেই সর্বজন পরিচিত, ঐ দশকের একজন প্রধান কবি উত্থান কলকাতায়। বুদ্ধদেব বসু-সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় লিখেছেন, কলকাতায় আরাে অনেক পত্রপত্রিকায় লিখতেন। সওগাত, মােহাম্মদী, বুলবুল ইত্যাদি পত্রিকায় লিখতেন। লিখতেন অঝােরে সুকান্ত ভট্টাচার্যসম্পাদিত আকাল পত্রিকাতেই ফররুখ আহমদের প্রথম কবিতা সংকলিত হয়। প্রেমেন্দ্র মিত্রসম্পাদিত প্রেম যুগে যুগে কবিতাসংগ্রহে তাঁর কবিতা গৃহীত হয়। আবদুল কাদির ও রেজাউল করীম সম্পাদিত কাব্য-মালঞ্চে তাঁর কবিতা গৃহীত হয়। ভূমিকায় বিশাল গুরুত্ব দেওয়া হয় তাকে। আকাশবাণী থেকে কবি আবদুল কাদির তার সম্পর্কে একক কথিকা সম্প্রচার করেন। নবীন কবি ফররুখ আহমদ নামে প্রথম গ্রন্থই সাত সাগরের মাঝি ফররুখ আহমদকে খ্যাতিমান করে তােলে। জীবকালে মাত্র ছয়টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু প্রত্যেকাটি নতুন পদক্ষেপ। বর্তমান সংগ্রহে তাঁর জীবকালে প্রকাশিত সবগুলি একত্রগ্রথিত হলাে প্রথমবারের মতাে।