এই গল্পগুলোর প্রধান চরিত্রের অভিজ্ঞতার জগৎ ভিন্ন, বেদনার রং ভিন্ন, উদ্যাপনের উপলক্ষ্য ভিন্ন। তবুও, কীভাবে যেন তাদের জীবন বাধা পড়ে আছে একই তানে।
সিনেমা বানানোর স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা এক তরুণ সহকারী পরিচালকের বেদনা যদি মুদ্রার এক পিঠ হয়, তো মুদ্রার আরেক পিঠে রয়েছে ঝড়ের রাতে নিজের ফ্ল্যাটে বসে ঢাকার দিকে চেয়ে থাকা একাকি ছেলেটি।
যে মেয়েটি সুনামগঞ্জ গিয়ে তার বাবার শিরিষ গাছের ডালে ঝুলে পড়ার কারণ উদ্ঘাটন করতে চায়, সেই বাবার ছায়া নিজ বাড়ির ছাদে হেঁটে বেড়ানো লোকটির মাঝেও কি দেখা যায় না?
জীবনসঙ্গীকে হারানো বা প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পেয়ে যাওয়া, সবশেষে পরমে মিলিয়ে যাওয়ার আকাক্সক্ষা- এসবই ধরা দেয় এই গল্পগুলোতে।
সাতটি গল্প একসঙ্গে রিফু করে নানাবিধ পুরুষালি প্রাপ্তি ও বঞ্চনার ফিরিস্তি, যার তেমন কোনো নান্দনিক সৌন্দর্য নেই। আপনার-আমার পরিচিত ব্যাটামানুষের উদ্যাপিত না-হওয়া কাহিনিই এই বইয়ে উদ্যাপন করে নেওয়া যাক।