তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর লেখায় বিশেষভাবে পাওয়া যায়। বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বােষ্টম, বাউরি, ডােম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছােট বা বড় যে ধরনের মানুষই হােক না কেন, তারাশঙ্কর তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাঁর লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তাঁর অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম-জীবনের ভাঙনের কথা, নগর-জীবনের বিকাশের কথা। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।
রকিবুল হাসান
রকিবুল হাসান। জন্ম ৩১ মে, ১৯৬৮। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে। মাতা: পরীজান নেছা। পিতা: মোহা. উকিল উদ্দিন শেখ। লেখাপড়া: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ. (অনার্স) এম.এ., পিএইচডি.। পেশা: সাংবাদিকতা। সম্পাদক, সাপ্তাহিক অর্থবিত্ত ও গৈরিক (সাহিত্যপত্রিকা)। প্রকাশিত গ্রন্থ : প্রবন্ধ: বিপ্লবী ভাঘা যতীন, পথের কথা, কয়ায় রবীন্দ্রনাথ, বাঘা যতীন এবং প্রাজ্ঞজন, কাব্য: দুঃখময়ী শ্যামবর্ণ রাত, অনিয়ম চুম্বনের সিঁড়ি ধরে, এক ধরনের অহংকার। উপন্যাস: নবীরন, ভাঙন, জীবন দিয়ে ভালোবাসি, এ কি তৃষ্ণা এ কি দাহ, ছায়াবন্দি, সম্পাদনা: নবতরঙ্গের ধ্বনিবন্ধ, আমার সোনার বাংলা কই, কত কবিতা শুনলাম কিন্তু। সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ: ইন্টারভিউ। পুরস্কার: বাংলা সাহিত্য পদক (১৪১৩ বাংলা), স্যার সলিমুল্লাহ পদক (২০০৬), দি সান সম্মাননা (২০১০), চাইল্ড হেভেন সম্মাননা (২০১০)। জীবন সদস্য, বাংলা একাডেমী, আজীবন সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকা; নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাহিত্য একাডেমি, কুষ্টিয়া।