কবীর চৌধুরী (১৯২৩-২০১২) একজন বরেণ্য সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ, যিনি ১৯২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ও সার্দান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। দীর্ঘকাল ধরে অধ্যাপনা ও লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিশ্বসাহিত্য থেকে জীবনঘনিষ্ঠ উপাদান আমাদের সাহিত্যে সফলভাবে এনেছেন। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তাঁর লেখার মূল ক্ষেত্র ছিল বিশ্বনাটক, শিল্পকলা, সাহিত্য সমালোচনা এবং অনুবাদ। তিনি শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে পরিচিত।
আলী ইমাম
আলী ইমাম। জন্ম : ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পিতা : মরহুম আলী আকবর, মাতা : শাহজাদী বেগম। শিশু সংগঠক, সুবক্তা এবং ৬০০টির অধিক শিশুসাহিত্যবিষয়ক গ্রন্থের রচয়িতা। সাহিত্যের সবকটি শাখা, ছড়া-কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, জীবনী, ভ্রমণকাহিনি, অনুবাদ, বিজ্ঞান কল্পকাহিনি রচনা করেছেন। প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ: ১৯৭৬ সালে গল্প সংকলন ‘দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া। প্রকাশক বর্ণ মিছিল, ঢাকা। বাংলা একাডেমির ফেলাে। দেশের বিশিষ্ট সব পত্রপত্রিকায় লিখেছেন প্রচুর। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাব্যবস্থাপক। তাঁকে পেশাগত কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরতে হয়েছে। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ইকো সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ স্বর্ণপদক, নওয়াব সলিমুল্লাহ পদক, জসীমউদদীন স্মৃতি সংসদ পুরস্কার, হােসেন আরা শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ছােটদের কাগজ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, লুবনা জাহান সাহিত্য পুরস্কার, ইউরাে শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং নওয়াব ফয়জুননেসা স্বর্ণপদক, চন্দ্রাবতী শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার।