অকপটে নিজেকে বিশ্লেষণ করে তাকে সবার কাছে তুলে ধরার অমোঘ আকাঙ্ক্ষা সবার থাকে না। মাঝে মাঝে যদিও বা বিশ্লেষণের খেয়াল তাড়া করে, তবু তাকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে পারাই জীবনের ভোগ সুখের সংজ্ঞা কারো কাছে। কিন্তু একে দিনের আলোর মত ছড়িয়ে দিয়ে জীবনকে অবমুক্ত করার চেতনাই মানুষকে কবি করে তোলে কিংবা এমন চেতনার মানুষই বুঝি কবি হন! কবি হয়ত মানুষ নন, কেন না, মানুষের তো লুকোনোর দায় থেকে যায়। কবি শামীম আহমেদ কতটা কবি অথবা শুধুই মানুষ কিনা, সেই বিশ্লেষণ দুরূহ। ‘নিমিষেই নিষিদ্ধ তুমি’ যদি কাব্যগ্রন্থে পাপ-পূণ্যের বাইরেও জীবনের নিজস্ব গতি ও খেয়াল আছে, সেই ভাবনাকে আগলে চলার স্পৃহা প্রকাশিত হয়েছে, এমনটা নির্দ্বিধায় বলা যায়! জীবনকে অতটা সরল রেখায় চলতে দেওয়ার সাহস তো সাধারণ মানুষের থাকে না, থাকে কবির, যা ঠাই পায় তাঁর সৃষ্টিশীল কাব্যের পঙক্তিমালায়। শামীম আহমেদ এবং তাঁর কবিতা তাই পাপ-পূণ্যের বাইরে চলা জীবনের নিজস্ব গতিময়তা ও খেয়ালেরই প্রতিচ্ছবি।