বেইলি রোডের রাস্তাটা আমার কান্নার সাক্ষী হয়ে রইল! এই রাতে আঁধারের বাগানে ফুলের মতন ফুটে রয়েছে কিছু বাতি। সেসবকে এড়িয়ে গেলে আঁধারের মুখোশে নিজেকে আড়াল করা সম্ভব। আমি এই মুহূর্তে তাই করছি। আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। ছেলেদের কাঁদতে নেই। আমি কান্না আটকানোর চেষ্টা করছি খুব করে। চোখ কথা শুনছে না। জল এসে ভিড় করলেই হাত দিয়ে মুছে ফেলছি তা। বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে গেছে আমার। কেমন জানি মরে যেতে পারলেই ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে। জীবনের এই সময়ে এসে আজ আমি টের পেলাম আমার আপন বলে কেউ নেই। কেউ আমার কাছের নয়। এই শহরের কিছু মানুষ আমাকে চেনে। আমি সামান্য একজন লেখক। আমি তাদের কাছ থেকে আজকের ঘটনা আড়াল করতে চাই। এই লজ্জা শুধু আমার কাছে থাকুক। শুধুই আমার। আঁধারের মুখোশে ঢাকা থাকুক আমার মুখ। আমি তবে অদৃশ্য হয়ে যাই। এই ভালো।
কিঙ্কর আহ্সান
দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। টানা পাঁচ বছর বাংলানিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, পরিবর্তনসহ দেশের প্রায় সব শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে লিখেছেন ছোটগল্প। কালের কণ্ঠের ‘বাতিঘর’ পাতায় শিক্ষানবিস সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। লেখালেখির পাশে হাত পাকিয়েছেন ফিল্মেও। ‘পাতার নৌকা’, ‘ক্রিং ক্রিং’ ও ‘জলপরানি’ টেলিফিল্মের কাজ করে হয়েছেন প্রশংসিত। ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ টিভি শো’র সহকারী স্ক্রিপ্ট রাইটারের কাজ করেছেন। এছাড়া ‘মার্কস অলরাউন্ডার’, ‘হাসতে মানা’, ‘হান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ নেভী’ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সুপার লীগ-গ্রান্ড লোগো আনভেইলিং’র প্রধান স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিলেন। কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সংঘ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, কণ্ঠশীলন, মুক্তআসর, বিল্ড বেটার বাংলাদেশসহ আরও অনেকগুলো সংগঠনের সাথে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে ডকুমেন্টারি নির্মাণসহ আরও নানান কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। চ্যানেল আইয়ের ‘আই পজিটিভ কমিউনিকেশন’-এ অ্যাসোসিয়েট গ্রুপ হেড হিসেবে কর্মরত ছিলেন দুই বছর। বর্তমানে কাজ করছেন ‘সান কমিউনিকেশন’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। সবকিছুর পরেও লেখালেখিই কিঙ্কর আহ্সানের আসল জায়গা। তার সর্ম্পকে এক কথায় বলতে গেলে তার বুবুর কাছ থেকে শোনা কথাটাই বলতে হবে, ‘মাটির মানুষ ছেলেটা তবুও আকাশে ডানা মেলে ওড়ার আজন্ম সাধ তার।’ এ পর্যন্ত ছয়টি বই লিখেছেন তিনি। বইমেলায় প্রকাশিত তার পাঠকপ্রিয় বইগুলো হলো- আঙ্গারধানি (উপন্যাস), কাঠের শরীর (গল্পগ্রন্থ), রঙিলা কিতাব (উপন্যাস), স্বর্ণভূমি (গল্পগ্রন্থ), মকবরা (উপন্যাস) ও আলাদিন জিন্দাবাদ (গল্পগ্রন্থ)