ফ্ল্যারে লেখা কিছু কথা মনের গাঙে ঢেউ উঠেছে/আপনহারা নিজকে চেনার ঢেউ/দোলায় দ্বন্দ্বে ভাঙছে রে সে/তেমন দৃশ্য কেউ দ্যাখেনি কেউ..... মনোজগতে নিবিড় নিভৃতে চলে কত না ভাঙচুর, কত যে উথালি পাথালি, তার কোনো কূল কিনারা নেই। কবিতায় এসবের খুব একটা প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই না। এই কবি ব্যতিক্রম। মরমিয়তা ও জাগতিকতা দুই ভুবনের বিচিত্র সব অনুষঙ্গ তিনি শৈল্পিক দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলেন কবিতায়। মনের খবর কয় জনা পায়-দেহ নিয়েই ঘোর কাটে না ঘোর..... শক্তিমান কবি হাসান হাফিজের কাব্য অভিযাত্রায় অভিষিক্ত হয়েছে মনোগহীনের চিরল নিরল অনুভূতিপুঞ্জের নান্দনিক ও প্রতীকী উপস্থাপনা। নিপুন ছন্দে, বিষয় বৈচিত্র্যে তাঁর কবিতাসম্ভব ঋদ্ধ, পাঠক প্রিয়। মনস্ক পাঠককে তাঁর কবিতা আলোড়িত যেমন করে, তেমনি সহজেই ভাবিত করতেও সমর্থ হয়। মনস্বী লেখক আবদুল মান্নান সৈয়দ যথার্থই এই কবির চারিত্র্যবৈশিষ্ট্য শনাক্ত করে বলেছিলেন, ‘ হাসান হাফিজ সর্বাবস্থায় লিরিক কবি।’
হাসান হাফিজ
জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৫৫। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে। পড়ালেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। পেশা সাংবাদিকতা। পেয়েছেন শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ডাকসু সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির জীবনসদস্য। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১৪০।