একটা মহাকাশযান— হার্মিস। যার নাম রাখা হয়েছে প্রাচীন গ্রীক পুরানের বার্তাবাহক ও পাতালের অন্যতম পথপ্রদর্শক দেবতার নামানুসারে। অসীম মহাশূন্যের মাঝ দিয়ে ছুটে চলেছে মহাকাশযান হার্মিস। খুঁজে চলেছে নতুন কোনো গ্রহ, যে গ্রহে গড়ে উঠবে নতুন মানব বসতি। এই ছুটে চলা ক্লান্তিহীন। তবে, মহাকাশযানের ছ'জন যাত্রী— তাদের কি কখনো ক্লান্তি আসে না? হার্মিস যে পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করেছিলো, সেই পৃথিবী মুমূর্ষু, জরাগ্রস্ত। মানুষের একচ্ছত্র আধিপত্য, দ্বন্দ্ব- যুদ্ধ আর লোভ যে গ্রহকে নিয়ে গিয়েছে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একটা সময়ে গিয়ে মানুষ টের পেয়েছে, সব পথ বন্ধ। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে, নতুন কোথাও বসতি স্থাপনের বিকল্প কিছু নেই। একদন নেই! হার্মিসের ছ'জন যাত্রীর ওপর তাই অনেক বড় দায়িত্ব। স্বজাতির অস্তিত্ব রক্ষার, ভবিষ্যৎ বংশধরদের একটা নিরাপদ আবাসভূমি নিশ্চিত করার! নিছক কল্পবিজ্ঞানের মোড়কের ভেতর যে গল্প বলেছে— মানুষের কথা, পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। মানুষের স্বপ্নের কথা। তীব্র আনন্দ আর প্রবল দুঃখবোধের কথা। যেখানে ছ'জন মহাকাশচারী ভাসছে নিঃসীম অন্ধকারে। সাথে আছে দশম পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কম্পিউটার— অ্যাবাকাস। বিজ্ঞান আর কল্পনাকে ছুঁয়ে এই গল্প হয়ে উঠেছে, আমাদের এই নীল গ্রহের গল্প, মানুষের গল্প। আমার- আপনার গল্প— কোথাও না কোথাও!