একটি সম্পুর্ন ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা, যারা এমন একটি গ্রহে থাকেন যেখানে বেশ অনেকগুলো ছোটবড় সুর্য্য রয়েছে, যার ফলাফল হিসেবে গ্রহটিতে কখনই পুরো অন্ধকার হয় না। গ্রহের বাসিন্দাদের কোন ধারনাই নেই সম্পুর্ন অন্ধকার জিনিসটা আসলে কি।
এরকম সময়ে ফান রাইড হিসেবে এক থিম পার্ক ব্যবস্থা করে টানেল অব মিস্ট্রি। একটি সম্পুর্ন অন্ধকার টানেলের মাঝ দিয়ে আপনাকে পার হতে হবে বেশ লম্বা একটা সময়। চমতকার আইডিয়া! এটা নিয়ে মানুষের যে পরিমান আগ্রহ দেখা গেল, তাতে যে কোন বিজনেসম্যান তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলবেন, কারণ তার টাকা উঠে আসবে ফর শিওর।
কিন্তু প্রতি রাইডেই কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে মানসিকভাবে, কেউ কেউ পাগল হয়ে যায়, কেউ মরেই যায়। কিসের কারনে? অন্ধকারের ভয়ে!
অন্যদিকে মহাকাশ পর্যবেক্ষন মানমন্দিরে চলছে আর এক নাটক। মানমন্দিরের এক গবেষক আবিস্কার করেছেন তাদের মহাকাশ ত্বত্তে রয়েছে এক বিশাল অস্বাভাবিকতা। এই অস্বাভাবিকতা এতটাই বিশাল ব্যপ্তির, পুরো দুনিয়াকে নাড়া দিতে পারে মুহুর্তেই।
আরর্কিওলজিস্টরা অন্যদিকে আবিস্কার করেছেন আর এক অস্বাভাবিকতার। পর পর সাতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত নগর। একটার উপরে আর একটা। প্রত্যেকটার ধ্বংস হবার সময় ঠিক দুই হাজার বছর পর পর।
ধর্মীয় ফারাটিকদের দল ঘোষনা দিচ্ছে, দুনিয়ার ধ্বংস অনিবার্য, উপায় কেবল একটাই, ধর্মের শরন নাও।
এই বিশাল পটভুমিকায়, বিভিন্ন ঘটনার মিশ্রনে এটা একটা নি:সন্দেহে অসাধারন সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস।
ইসতিয়াক মাহমুদ
রবার্ট সিলভারবর্গ
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।