বই পরিচিতি: আসিফ মেহ্দী জীবনের নানা অনুভূতি তাঁর ছড়া, গল্প আর উপন্যাসে তুলে ধরেন বেশ সাবলীলভাবে। ‘ন্যানো প্রহর’ নামের এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁর আর সব ছড়া-কবিতার মতো এই বইয়ের কাব্যগুলোও আসলে মানবজীবনেরই প্রতিচ্ছবি। জীবনের নানা সময়, নানা প্রহরে সুখ-দুঃখ আর হাসি-কান্নার মিশেল যে ছোট ছোট অনুভূতিগুলো আমাদের জীবনে ধরা দেয়, সেই অনুভূতিগুলোই ব্যক্ত হয়েছে বইয়ের ন্যানো কাব্যগুলোতে। জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ওই নির্দিষ্ট প্রহরগুলোকেই লেখক বইবন্দী করেছেন ‘ন্যানো প্রহর’ আখ্যায়িত করে। বইয়ের হরেক রকম কাব্যগুলোতে আমি আমার অনুভূতিগুলো খুঁজে পেয়েছি। দেখা যাক আপনি কতটা পান আপনারগুলো! - পাভেল মহিতুল আলম
লেখক পরিচিতি: ছেলেবেলায় কতটা দুরন্ত ছিলেন, শান্ত-শিষ্ট চেহারার আসিফ মেহ্দীকে দেখলে তা একদমই বোঝার উপায় নেই! দুষ্টুমিতেও কম ছিলেন না। বড় হওয়ার পর চলাফেরা বা ব্যক্তিগত জীবনের অন্য সব জায়গায় দেখা না গেলেও রম্য লেখালেখিতে সেই দুরন্তপনা আর দুষ্টুমির ছাপটা ঠিকই স্পষ্ট। তাই বলে লেখাতে ‘ম্যাচিউরিটি’টাও কিন্তু অনুপস্থিত না। বরং ব্যঙ্গ আর হাসির সংগে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন উন্মাদ ও রস আলোতে রম্য লিখছেন বহু আগে থেকেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। রম্যলেখক হিসেবে অধিক জনপ্রিয় হলেও আসিফ মেহ্দী সায়েন্স ফিকশন আর ছড়া লিখতেই বেশি পছন্দ করেন। ‘ফ্রিয়ন’ ও ‘হিগস প্রলয়’ নামে দুটি সায়েন্স ফিকশন এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে লেখা তাঁর ছোট ছোট ছড়া নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘ন্যানো কাব্য’ নামের আরেকটি বই। পাঠকেরা সেই বইগুলোও গ্রহণ করেছেন সানন্দে। ‘ন্যানো প্রহর’ নামের এই বইটিও নিশ্চয় এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে না। আসিফ মেহ্দীর জন্ম ১৯৮৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অবসর বলে তাঁর কিছু নেই বললেই চলে। কারণ প্রতিদিন কর্মস্থলের দায়িত্ব শেষ করে বাকি সময়টা লেখালেখির পেছনেই ব্যয় করেন তিনি। আসিফ মেহ্দীর প্রকাশিত-অপ্রকাশিত, নতুন-পুরোনো লেখাহুলো নিয়মিত পড়তে পারেন তার পেজ ‘একটু হাসুন’ (www.facebook.com/Ektu.Hashun) থেকে। - পাভেল মহিতুল আলম
বইটির উৎসর্গপত্র: কোনো মানবী পরীর মতো এত সুন্দর কীভাবে হয়, ভেবে পাই না! মেয়েটি তার অজান্তেই আমাকে দিয়ে কবিতা লিখিয়ে নেয় রোজ। তবে তার প্রেমে পড়েছি, তা নয়। তার সৌন্দর্য, স্নিগ্ধতা ও চঞ্চলতা আমাকে আবেশিত করেছে, করেছে আচ্ছন্ন। সেই মানবী হয়তো বাস্তবজগতেরই কেউ না; তবু তার একটি নাম দিয়েছি...অপ্সরা।
ভূমিকা (লেখকের কথা): জীবনের ন্যানো সুখ, ন্যানো দুঃখ, ন্যানো প্রেম বা ন্যানো বিরহের প্রতিফলন, প্রতিসরণ অথবা শোষণ ঘটে ন্যানো কাব্যে। সাইজে সবসময় ন্যানো না হলেও ন্যানো প্রহরের ন্যানো অনুভূতিগুলো এসব কাব্যে ফুটে ওঠে বলে ভালোবেসে আমি এদের ডাকি ‘ন্যানো কাব্য’! এই ধারার প্রথম বই ‘ন্যানো কাব্য’ প্রকাশের পর দেখেছি অনেক পাঠকবন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাস ন্যানো কাব্যময় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে ফেসবুকে খোলা হয়েছে ন্যানো কাব্য বিষয়ক অসংখ্য পেজ এবং গ্রুপ। সেসব পেজ বা গ্রুপে শ শ ন্যানো কবি প্রতিনিয়ত লিখছেন ন্যানো কাব্য। মানুষের আবেগঘন মুহূর্তের এমন গঠনমূলক প্রকাশ পরিবার, সমাজ ও দেশকে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার হাত থেকেও সুরক্ষা করছে! তবে চাই না ন্যানো কাব্য কারও ধ্যান-জ্ঞান হোক; শুধু চাই ন্যানো হোক আমাদের নিত্য সহচর।
আসিফ মেহ্দী
সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহদীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলােতে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। বেতাল রম্য নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহদী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়।
বর্তমানে লিখছেন দেশসেরা ম্যাগাজিন ‘কিশাের আলাে বিজ্ঞান আনন্দ ও বিজ্ঞান চিন্তা’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবােধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহদী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপােক্ত করে ফেলেছেন। সম্প্রতি এনটিভিতে প্রচারিত তার লেখা নাটক ‘অ্যানালগ ভালােবাসা’-র বিষয়বস্তুর জীবনঘনিষ্ঠতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চৌদ্দ।
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বাের্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহদী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশােনা করেছেন। ভালাে ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ছাত্রজীবনে পেয়েছেন ‘বিমানবাহিনী প্রধানের শ্রেষ্ঠ মেধা ট্রফি নটরডেম। কলেজ থেকে ‘অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স' বুয়েট থেকে একাধিকবার ‘ডীন স্কলারশিপ’ ঢাকা শিক্ষা বাের্ড থেকে একাধিকবার ট্যালেন্টপুলে ‘বাের্ড স্কলারশিপ এবং আরও নানাবিধ পদক ও সম্মাননা। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।