কী দুঃসহ একটা দিন! আর দশটা দিনের মতোই সকালে নিয়ম করে সূর্য উঠেছে, পাখি উড়েছে আকাশে। সৈকতে এসে ভেঙে পড়েছে তাসমান সাগরের ঢেউ। তারপরও সেটি কত আলাদা! দূষণহীন নির্মল বাতাসের কারণে নিউজিল্যান্ডের রোদে সব সময়ই মায়াবী এক সোনালি রং, কিন্তু সেদিন ওই রোদটা যেন অশ্রুভেজা। পাখির কিচিরমিচিরেও যেন মানুষের নিষ্ঠুরতা নিয়ে বিস্ময় আর প্রতিবাদ। সাগরের ঢেউ ভেঙে পড়ছে কান্নায়...
পৃথিবীর মধ্যে একটুকরো স্বর্গ বলে পরিচিত নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে এলে মানুষের চোখেমুখে ঘোর লেগে থাকে। নিউজিল্যান্ডের সৌন্দর্যের গল্প শেষই হতে চায় না। বারবার দেখলে স্বর্গীয় সৌন্দর্যও মলিন হতে শুরু করে, এ কথা ভুল প্রমাণ করে দেবে নিউজিল্যান্ড। পাঁচবার সেই দেশ ভ্রমণ করেও ক্রীড়া লেখক উৎপল শুভ্রের ঘোর কাটেনি। কিন্তু কে জানত, সেই একটুকরো স্বর্গে হঠাৎ দেখা দেবে রক্তখেলায় মেতে ওঠা এক দানব! মন ছুঁয়ে যাওয়া এই ভ্রমণগল্পে শেষ পর্যন্ত অবশ্য অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের জয়গানই করেছেন লেখক।
উৎপল শুভ্র
জন্ম ২৫ পৌষ ১৩৭৩, নেত্রকোনায় মামাবাড়িতে । উৎপল শুভ্র ক্রীড়া সাংবাদিকতায় এসেছিলেন নিছকই শখে। সেই শখ কখন-কীভাবে পেশায় রূপ নিয়ে নিল, সেভাবে টেরই পাননি। ক্রীড়া সাংবাদিকতাকেই ধ্যানজ্ঞান। করে নিয়েছেন সেটিও যােলাে বছর হয়ে গেল। নেশাটাকেই পেশা করতে পেরে নিজেকে তিনি ভাগ্যবান বলেই মানেন। লেখালেখির মূল বিষয় ক্রিকেট হলেও বলতে গেলে সব খেলাতেই সমান আগ্রহ। এ কারণেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট যেমন কভার করেছেন, তেমনি করেছেন বিশ্বকাপ ফুটবল এবং অলিম্পিক গেমসও। বর্তমানে প্রথম আলাে পত্রিকার ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। ১৯৯৮ সাল থেকে ক্রিকেটের বাইবেল’খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাকের। বাংলাদেশ প্রতিনিধি।