‘সমাজতন্ত্রের সংকট’, সর্বহারাশ্রেণীর একনায়কত্ব, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের চর্চা, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী, মিলিটারি সুপ্রিমেসি ও সিভিলিয়ান সুপ্রিমেসি, পার্টি, পার্টির মধ্যে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার অনুশীল, দুই লাইনের সংগ্রাম, গোপন ও প্রকাশ্য কাজের সমন্বয় সাধন, সশস্ত্র সংগ্রাম, শান্তি আলোচনা এমনই অসংখ্য বিষয়ে এই পার্টির রয়েছে নতুনতর মূল্যায়ন, যা বিশ্বের অন্য কোন কমিউনিস্ট পার্টি এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই লেখায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা এখানে পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক নয়, তবে উদহারণ হিসেবে পার্টি, রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যেকার সম্পর্ক বিষয়ে পার্টির মূল্যায়ন সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরা হলো : ‘জনগণ থেকে পার্টি যত বিচ্ছিন্ন থাকবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার অনুশীলন তত যান্ত্রিকভাবে এবং ভুল পথে অনুশীলিত হবে, রাষ্ট্রের কাজকর্ম চালানোর ক্ষেত্রে পার্টি-বহির্ভূত জনগণ দিয়ে বিপ্লবী কমিটি গঠনের উপর জোর গুরুত্ব দিতে হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পার্টি পর্যায়ে আলোচনার সাথে সাথে জনগণের মধ্যেও বিতর্কের জন্য দিতে হবে, যেমন ২০০৩-এর কেন্দ্রীয় কমিটির একটা সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্য জনগণের মধ্যে রাখা হয়েছিল। মতাদর্শগত ধারণা গভীরতর করার জন্য নেতা-কর্মীদের চেতনাকে সচেতন করতে হবে; অনিবার্যতাকে সঠিকভাবে বোঝা, ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে অনিবার্যতাকে স্বাধীনতায় পরিণত করাই হওয়া উচিত সচেতনতার সারমর্ম। উপরের দিকের কয়েকজন মাত্র মতাদর্শগতভাবে সক্রিয় আর বাকি কর্মীরা অসহায় দর্শকমাত্র, স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে অক্ষম, কমিনটার্ন মডেলের পুরোন পার্টিগুলোর এই অনুশীলনের অবসান ঘটানো দরকার।