দুনিয়া আজ সন্ত্রাস কবলিত, সঙ্কটাপন্ন। চারিদিকে নিত্যনৈমিত্তিক সংঘটিত হচ্ছে নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। বিশেষ করে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে বিপন্ন এই পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রাঙ্গণ। আর এই সঙ্কটাপন্ন ও সন্ত্রাসগ্রস্ত বৈরি বিশ্ব পরিবেশে তাই শান্তির বাণী যেন পরিহাস শোনায়। কিন্তু তবুও শান্তির জন্য মানুষের আশা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত। তাতে আর সবার সঙ্গে বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কম-বেশি শামিল হতে আগ্রহীও। তবে এই সন্ত্রাস ও শান্তির মাঝে অবশ্যই যাঁর অবিসম্ববাদিত নাম উজ্জ্বল হয়ে আছে তিনি আর কেউ নন-- নেলসন ম্যান্ডেলা। সবরকম জুলুম ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ার কাজে ম্যান্ডেলা বরাবরই এক প্রেরণার নাম। দেওয়ান শামসুল আরেফীনের এই সংকলনাবদ্ধ রাজনৈতিক-বিশ্লেষণাত্মক লেখাগুলোতে নানা আলোচনার পথের বাঁকে উপর্যুক্ত প্রসঙ্গই কম-বেশি প্রতিফলন লক্ষণীয়। লেখাগুলোতে একজন সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে শামসুল আরেফীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষণে দূরদৃষ্টির ও অঙ্গীকারাবদ্ধতার পরিচয় পাবেন পাঠকেরা। সেইসঙ্গে একাত্ম ও ঋদ্ধ হবেন বর্তমান রাষ্ট্র ও বিশ্ব-রাজনীতির নানামুখি তৎপরতা ও হালচালের সঙ্গেও।
দেওয়ান শামসুল আরেফীন
দেওয়ান শামসুল আরেফীন, সমাজবিজ্ঞানী। তিনি নিউ জার্সির রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্ব বিভিাগের অনিয়মিত অধ্যাপক। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাসরত। নিউ ইয়র্কের বাংলা সাপ্তাহিক ঠিকানার একজন নিয়মিত লেখক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক আরেফীন এক সময়ে ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনূদিত মায়া এঞ্জেল্যু, ল্যাংষ্টন হিউগস প্রমুখের কবিতা বাংলাদেশের বিচিত্রাসহ আমেরিকার অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক আমারদেশ-এ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক বাংলা গ্রন্থকে Twenty Years After the Genocide in Bangladesh নামে অনুবাদ করেছেন। আরেফীন উত্তর আমেরিকার ‘ফোবানা’র (FOBANA) কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউ জার্সির প্রাক্তন সভাপতি (1989-90, 1990-91, 1993-94, 2002-03) এবং মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশন, ইউ.এস.এ-এর সভাপতি। দেওয়ান শামসুল আরেফীন সাপ্তাহিক ঠিকানার ‘শ্রেষ্ঠগ্রন্থ পুরস্কার 200 ‘ পান।