১৯৫০ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঘটতে থাকে ছোটোবড়ো অনেক পরিবর্তন। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে দ্রুত ঘটে যায় এমন সব পরিবর্তন, যা বাংলার মানুষ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা বুঝতেই পারেনি। বাঁধ তৈরি করে বিশাল এলাকাজুড়ে পানি জমাতে গিয়ে রাঙামাটি, কাপ্তাই, মাইনিমুখ, শুভলং, মাড়িশ্যা এবং আরও অনেক অঞ্চল মাইলের পর মাইল ৩৫ থেকে ৪০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। এমন একটি ভয়াবহ বিপদ হতে পারে সে সম্পর্কে আগে ভাগে স্থানীয় বাসিন্দাদের যথাযথ সতর্ক করা হয়নি। সিংহভাগ বাসিন্দা ছিল আদিবাসী। পাহাড়ে, জঙ্গলে এমন সব গভীর বনে তারা বসবাস করত যে তাদের কাছে যথাযথভাবে খবর পৌঁছাতে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তি ও সংশ্লিষ্টরা অবহেলাই করেছে। ফলে অনেক আদিবাসী চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে দিশা হারিয়ে ফেলেছিল। দিশা হারিয়ে ফেলেছিল অনেক বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বিলুপ্ত নীলগাই।