ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বিশ্ব বিপ্লবের প্রতীক চে গুয়েভারা তাঁর সময়ে হয়ে উঠেছিলেন সাম্রাজ্যবাদের জন্য আতঙ্ক। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তিনি মার্ক্সবাদী তত্ত্বের সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে যোগ করেছিলেন নতুন মাত্রা। চেয়েছিলেন বিশ্বব্যাপী ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে যাতে দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ ন্যায়সঙ্গত অধিকার অর্জন করতে পারে।মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংস সাধনের পন্থাও বাৎলেছিলন চে। আর একবিংশ শতাব্দীর মানুষ কেমন হবে তার রূপরেখাও এঁকে ছিলেন তিনি। এসব বিষয়ে তার একটি বক্তৃতা , একটি চিঠি এবং একটি নিবন্ধ সঙ্কলিত হয়েছে এই গ্রন্থে। এতে পাওয়া যাবে বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি, আগামূী পৃথিবী সম্পর্কে তার দূরদর্শী মন্তব্য এবং বিপ্লবী কর্তব্য পালনের আহবান। ন্যায়সূত্র চে গুয়ভারার তাত্ত্বিক ঋদ্ধতার প্রমাণবাহী একটি আকর গ্রন্থ যাতে রয়েছে সেই বিখ্যাত শ্লোগানের ব্যাখ্যা এক দুই বা ততোধিক ভিয়েতনাম সৃষ্টি করুণ...
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা
চে গুয়েভারা জন্মেছিলেন ১৯২৮ সালে আর্জেন্টিনায় আর ৩১ বছর বয়সে কিউবার বিপ্লবী যুদ্ধে অংশ নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বিশ্বকে। যুগে যুগে নতুন প্রজন্ম আর বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন তিনি সেই থেকে। তারপর কিউবার মন্ত্রীত ছেড়ে প্রথমে কঙ্গো পরে বলিভিয়ার বিপ্লবী যুদ্ধে অংশ নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন মহামানব। অন্যদিকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের জন্য আতঙ্ক। ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ার জঙ্গলে মার্কিনীদের কাছে প্রশিক্ষণ পাওয়া মিলিশিয়ারা হত্যা করে তাকে। ৩৯ বছরের ক্ষুদ্র জীবন পরিসরে তিনি হয়ে উঠেছিলেন। একাদিক্রমে বিপ্লবের রূপকার এবং সমাজতান্ত্রিক তত্ত্বকার।
অনুবাদক: আবীর হাসান ঔপন্যাসিক, কবি, সাংবাদিক। বিজ্ঞান লেখক হিসেবেও পরিচিতি আছে । অনুবাদ করেছেন বেশ কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ।