নামগুলো আপনার সবই কমবেশি চেনা। আপনি যদি ফুটবলের অনুরক্ত হয়ে থাকেন তাহলে মেসি, রোনালদোর মহীরুহ হয়ে ওঠার সময়টা দেখেছেন নিবিড়ভাবে। ফেদেরার, নাদাল, সেরেনার নামও শুধু টেনিসের কোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ক্রিকেট হয়তো অতটা বৈশ্বিক খেলা নয়, তবে স্মিথ, কোহলি, উইলিয়ামসন আর আমাদের ঘরের ছেলে সাকিব আল হাসানের বেড়ে ওঠাও হয়তো আপনার সামনে। উসাইন বোল্ট আর মাইকেল ফেলপসদের অলিম্পিকে কীর্তি আপনার হয়তো না জানার কারণ নেই। এই মহারথীদের নিয়ে পত্রিকার পাতায় অগুণিত প্রতিবেদন হয়তো আপনি পড়েছেন, ইউটিউবে হয়তো দেখেছেন তাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অর্জনে মুগ্ধ হয়ে স্ট্যাটাসও হয়তো দিয়ে থাকবেন। খেলার বাইরে নিজ নিজ দেশেরই বড় দূত তাঁরা সবাই। তবে তাঁদের কিংবদন্তি হয়ে ওঠার এই রাস্তাটা হয়তো স্মৃতিতে ঠিকঠাক মনে নেই। আসলেই কেন তারা এত বড় হয়েছেন, সেই প্রশ্নও হয়তো এসেছে আপনার মনে। ‘নায়কদের নেপথ্যে’ বইতে এই ১১ জীবন্ত কিংবদন্তির এই চুড়ায় ওঠার গল্পটাই বলার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ১১ জনের সবার জীবনেই কমবেশি উত্থান পতন এসেছে, সাফল্য এমনি এমনি তাদের হাতে ধরা দেয়নি। সবাই কখনো না কখনো হোঁচট খেয়েছেন, প্রতিভার সঙ্গে পরিশ্রম দিয়েই সেই কাঁটা সরিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন সামনে। সবার জীবনে এমন কোনো একটা ঘটনা আছে, যা বদলে দিয়েছে তাঁদের চলার পথ। তাঁদের মধ্যে বিশেষ এমন কী আছে, সেই সুলুকসন্ধান করার একটা প্রচেষ্টা আছে এই বইতে।