বিশিষ্ট নাট্যজন রবিউল আলমের নাট্যসমগ্র ১ গ্রন্থে সত্তর দশকের সাতটি নাটক স্থান পেয়েছিল। বর্তমান গ্রন্থ নাট্যসমগ্র ২-এ অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে আশি ও নব্বুই দশকের ছয়টি নির্বাচিত নাটক। গ্রন্থভুক্ত নাটকগুলোর প্রত্যেকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক তবে প্রতিটির সুর, সংলাপ ও মেজাজ ভিন্ন। প্রথম তিনটি নাটক হাস্যরসাত্মক, চতুর্থটি মুক্তিযুদ্ধের এবং পরের দুটি যথাক্রমে যৌতুক ও সন্ত্রাসবিরোধী। নাট্যসমগ্র ২-এর নাটকগুলোর একটি প্রযোজনা করেছে তির্যক নাট্যগোষ্ঠী। বাকি নাটগুলো প্রযোজনা করেছে বিভিন্ন দল ও সংস্থা। ভালো কমেডি লেখা দুরূহ কাজ; আমাদের বিশ্বাস রবিউল আলম সেই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই। নাটক রচনার ভূমিকা দ্বিজ; পাঠ ও অভিনয় দুই ক্ষেত্রেই। আর এই দুই ক্ষেত্রেই রবিউল আলম তাঁর সৃষ্টিশীলতার আবারও সাাক্ষাৎকার রাখলেন। এবং প্রেরণা যোগালেন সতীর্থ নাট্যকর্মীদের নাট্যসমগ্র প্রকাশের মধ্য দিয়ে। তাঁর নাট্যগ্রন্থগুলোর প্রতি নাট্যরসিকদের শুভদৃষ্টি পড়ক, তাদের কাছে সমাদৃত হোক এই আমাদের আশা।
রবিউল আলম
জন্ম বগুড়ায় (নভেম্বর, ১৯৪৬)। তবে কর্মস্থল চট্টগ্রামেÑপেশা ও নেশা উভয় ক্ষেত্রেই। তিনি চট্টগ্রামের তির্যক নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার (১৯৭৪) মাধ্যমে গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। নাট্যক্ষেত্রে রবিউল আলমের পরিচয় নানামুখী হলেও তিনি মূলত নাট্যকার। মধ্যবিত্ত জীবনের আনন্দ-বেদনাকে খুব কাছে থেকে ধরতে সিদ্ধহস্ত তিনি। অনুবাদ করেছেন শেক্সপিয়র (অ্যাজ ইউ লাইক ইট), মলিয়ের (বিবি পাঠশালা), হ্যারল্ড পিন্টার (চারটি নাটক) ও ইয়াসমিনা রেজার (দাফনের পরের সংলাপ) নাটক। মিখাইল শ্চেদ্রিন, আবু রুশদ, মাহ্বুব-উল আলম ও সুচরিত চৌধুরীর গল্প অবলম্বনে নাটক লিখেছেন কয়েকটি। সত্তর দশকে সম্পাদনা করেছেন তির্যক নাট্যত্রৈমাসিক পত্রিকা। বেতার টেলিভিশনের নাট্যকার, অভিনেতা ও অতিথি প্রযোজক।