ছেলে ও মেয়েশিশুর ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় সামাজিকীকরণের কারণে তারা বেড়ে ওঠে বৈষম্যমূলক জেন্ডার-সত্তা নিয়ে; যা সমাজ, সংস্কৃতি কর্তৃক নির্ধারিত। দেশ-সমাজ-কাল-সংস্কৃতি ভেদে জেন্ডাররূপ ভিন্ন ভিন্ন হলেও বৈষম্যমূলক ধারাটি সকল কাঠামো ও পরিবেশে বর্তমান। কেননা কিছু আদিবাসী সমাজ বাদে পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র- সকল পরিমণ্ডলেই পিতৃতান্ত্রিক তথা পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা জারি রয়েছে যার ধারক ও বাহক নারী-পুরুষ উভয়েই। জেন্ডার কাঠামো ও ক্ষমতা কাঠামো অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আর, ক্ষমতা কাঠামোয় যেহেতু পুরুষের অধিষ্ঠান অধিক; তাই সকল স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ সীমিত অথবা শূন্য; পুরুষের তুলনায় নারী পরিমাণ ও ধরনে অধিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার; অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে এবং সুযোগ ও সম্মানপ্রাপ্তিতে নারী পিছিয়ে রয়েছে। নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক সংস্কৃতি, প্রথা, নিয়ম, নীতি, আইন ও তার প্রয়োগ, চর্চাকে প্রশ্ন করা জরুরি।
আর এই জরুরি প্রশ্নগুলোকে তথ্য ও তত্ত্বের আলোয় উন্মোচনের সবিশেষ চেষ্টা করেছেন গ্রন্থকার এই বইয়ে।