ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘নানান দেশের রূপকথা’ বইয়ে রয়েছে বিশ্বের ২৪ দেশের বাছাই করা মনকাড়া গল্প। হাসান হাফিজ নিবিষ্ট মনোযোগ ও দক্ষ শিল্পকুশলতায় গল্পগুলো বাংলা ভাষা রূপান্তর করেছেন। এক একটি গল্প এক এক রকম। রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা, হাস্যরস ও আনন্দের উপকরণে ভরপুর প্রতিটি গল্পই দারুণ উপভোগ্য।
যে ২৪ দেশের রূপকথা এ বইয়ে আছে, সে দেশগুলো হচ্ছে : মেক্সিকো, জাপান, কেনিয়া, ভারত, মিয়ানমার, চীন, ফিরিপিন্স, চিলি, ইথিওপিয়া, গ্রিস, সুইডেন, ত্রিনিদাদ, ত্র্যাঙ্গোলা, লাওস, আফগানিস্তান, ইরান, ঘানা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ইউক্রেন, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং পাকিস্তান।
মায়াবি রূপকথার জগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পরোক্ষ শিক্ষা ও নৈতিকতার উপাদান। এসব উপাদান শিশু-কিশোরদের কচি কোমল মনে সুদূরপ্রসারী ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এটা রূপকথার ইতিবাচক একটি দিক। রূপকথা শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও কল্পনাশক্তির পরিধি বিস্তারে সহায়ক। এসব কারণে ডিজিটাল প্রযুক্তির আগ্রাসী দাপটের এই কালেও রূপকথার মূল্য, মর্যাদা, আবেদন এবং কদর কোনও অংশেই কমেনি।
হাসান হাফিজ
জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৫৫। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে। পড়ালেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। পেশা সাংবাদিকতা। পেয়েছেন শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ডাকসু সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির জীবনসদস্য। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১৪০।