চমৎকার একটি জার্নির গল্প পড়লাম। তবে জার্নিটা হল জীবনের। খুব সুন্দর করে বলা হয়েছে সবকথা। অকপটে। অবিশ্বাস্য ন্যারেটিভে।
তাঁর কথা পড়ে, তাঁর জীবন জেনে আমারও তাই ধারণা হয়েছে আমাদের মানে মেয়েদের জীবনটা রিয়েলিস্টিকও না,
আইডিয়ালিস্টিকও না। আমাদের জীবনটা হচ্ছে বাস্তব। সত্য। নির্মম।
সেই চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর বাড়ি থেকে যার যাত্রা শুরু আর শেষটা কোথায়। সেটা কি নিউইয়র্কে, জানি না। লেখিকা নিজেও জানেন না তাঁর অনন্ত পথের যাত্রা কোথায় গিয়ে থামবে। তবে তাঁর এই আত্মজৈবনিক উপন্য্যাস থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে বলি এটাই যে, বাবা মা যেন তাঁর শিশু কন্যাটিকে চোখে চোখে রাখেন। কারণ যে মানুষটি সেই শিশুটিকে সঙ্গ দিচ্ছে সে হতে পারে অমানুষ।
ম্যাপেলের ঝরাপাতা’র আর এক খন্ডের জন্যে অপেক্ষায় রইলাম। কারণ সেই ঝরাপাতার আর একটি চলে গেছে হারিয়ে যাওয়া আরমানের সাথে। আমি এবার চোখ মুছে বলি, আমি এমন হৃদয়কাড়া লেখা অনেকদিন পড়িনি। তাই চাইবো তাঁর অনিন্দ্য সুন্দর লেখা সবার ঘরে ঘরে যাক। আলো ছড়াক। কথাশিল্পী আঁখিকে সত্যিই শিল্পগুরুই মনে হয়েছে। আমি লেখিকা ও তাঁর এই বইটির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।