দান সম্পর্কিত কিছু কথা দান বিভিন্ন কারনে করা হয়। দান করার উদ্দেশ্য এবং অভিপ্রায় বহুকাল হইতেই সর্বজন বিদিত। মানব কল্যাণেরজন্য সর্বশ্রেষ্ঠ একটি কর্ম। সর্ব ধর্মেই দান করার মহত্ব পাওয়া যায়। ইসলামে ধর্মের প্রাচীনকাল হইতেই দান করার বিষয় ধর্মপ্রাণ ও মহৎ ব্যক্তিগণের মধ্যে দেখা যায়। এক্ষেত্রে অনেকেই স্মরণীয় ও বরণীয় হইয়া আছেন।
দান করার আইন আছে। উইলও একটি দান, যাহা সাধারণত : মৃত্যুর পর কার্যকর হয়। ওয়াক্ফও একটি দান। সাধারণত : ধর্মীয় উদ্দীপনায় উদ্বুদ্ধ হইয়া করা হয়। অনেক সময় জনহিতকর কাজের জন্যও দান করা হয়। যেমন-স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বোর্ডিং , হাসপাতাল ও অন্যান্য মহৎ কাজের জন্য।
আইনগত কিছু বিধি বিধান, সীমাবদ্ধতা সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি বিষয় বিগত দিনের আইন বিদগণের সুচিন্তা ধারার ফসল হিসাবে গ্রহণ করা হইয়াছে। যাহা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য করা হইয়াছে। উহাতে দানের বিষয়বস্তু মানব কল্যাণে বাধাগ্রস্থধীন ভাবে পরিচালিত হওয়ার পথে সুবিধা হইয়াছে।
বিধি-বিধান সুশৃঙ্খলভাবে সব কিছু পরিচালিত করিতে সাহায্য করে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট সকলসহ অন্যান্যদেরও এই বিষয়সমূহের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আমি দান, উইল, ও ওয়াক্ফ সংক্রান্ত আইন এবং নজির সংকলন করিয়াছি। ১৯৬২ সালের ওয়াক্ফ অর্ডিনেন্সের সর্বশেষ সংশোধনীসহ আইনটি সংকলনে সন্নিবেশিত করিয়া দিয়াছি। এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নজির ও দিয়াছি।
আমি মনে করি বইটি সবার জন উপকারী হইবে। ভুলত্রুটি থাকা অসম্ভব নহে। সবার পরামর্শ ও নির্দেশ কামনা করি এবং বইটি দ্বারা সম্পৃক্ত সকলের সামান্য উপকার হইলে আমার পরিশ্রম সার্থক মনে করিব। বিনীত গ্রন্থকার
এ্যাডভোকেট মোঃ মোসলেম উদ্দিন খান
Title :
মুসলিম দান : উইল ও ওয়াকফ তৎসহ ১৯৬২ সালের ওয়াকফ অর্ডিনেন্স