বাগদাদে আব্বাসি খিলাফতের পতনের পর মুসলিম বিশ্ব একটি অভিভাবকশূন্য সময় পার করে। সারা পৃথিবীতে মুসলিমদের দুর্দশার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়। ক্রুসেডারদের ক্ষুৎপিপাসা প্রবলতর হতে থাকে। পৃথিবীজুড়ে তারা মুসলিমদের হত্যা করে বেড়ায়। মুসলিম ভূখণ্ডগুলো ছোট ছোট প্রদেশ ও অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অনৈক্যের তুমুল তুফান মুসলিমদেরকে শত্রুর সম্মুখে তুচ্ছ খড়কুটায় পরিণত করে। অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নি মুসলিমরা।
ইতিহাসের এই করুণ মুহূর্তে ইসলাম ও মুসলিম জাহানের মুক্তির জন্য এবং নতুন করে বিশ্বশাসনের জন্য এক অনন্য অভিভাবকের আবির্ভাব ঘটে। যার নাম উসমানি খেলাফত। মুসলিমদের ইতিহাসে যুক্ত হয় আরেকটি সোনালি অধ্যায়। মহা কুচক্রী ক্রসেডারদের অন্তরে সঞ্চার হয় ত্রাস।
আরব থেকে অনারব পৃথিবীর যে প্রান্তেই কোনো মুসলিম অঞ্চল ক্রুসেডারদের ও খৃস্টান সাম্রাজ্যবাদীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেখানেই তারা ছুঁটে গেছেন। নিজেদের রক্ত দিয়ে সেই অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছেন। লেখকের জাদুকরী বর্ণনায় এসব ইতিহাস যেনো জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
বইটির রচয়িতা সাইয়িদ সুলাইমান নদবি রহ.। ভারতীয় উপমহাদেশে বিগত দুই শতকে যে অল্প কয়জন মনীষা সিরাত, ইতিহাসবিদ্যা ও জ্ঞানগবেষণায় অনন্য উচ্চতা স্পর্শ করেছেন এবং সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। এমন একটি বই বাংলাভাষায় অনন্য সংযোজন নিঃসন্দেহে।