মোসাদ 'র' ও অন্যান্য
ডিটেকটিভদের নিয়ে লেখা বইয়ে ধর্ম নিয়ে এতো টানাটানি বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের মতাদর্শ অনুযায়ী কর্ম পরিচালনা করে থাকে। লেখক বারবার নিজের মতাদর্শ দিয়ে ঐ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে বিচার করেছেন। পক্ষপাতদুষ্টতা লেখনির মান কমিয়ে দিয়েছে। প্রাঞ্জলতার অভাবের কারণে বইটি পড়তে যেয়ে একঘেয়েমি চলে আসে।
অন্যান্য বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার তুলনায় ‘মোসাদ’ এর দায়িত্ব বা কাজের পরিধির বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সংস্থাটির স্বঘোষিত উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সীমানার বাইরে গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা, শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলো যাতে বিশেষ ধরনের অস্ত্র তৈরি বা সংগ্রহ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা এবং দেশে-বিদেশে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলার ষড়যন্ত্র আগাম প্রতিরোধ করা। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে আরও কিছু উদ্দেশ্য। যেসব দেশে ইসরায়েলের অভিবাসন সংস্থা আইনত সক্রিয় হতে পারে না, সেই সব দেশ থেকে ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসার দায়িত্বও পালন করে ‘মোসাদ’। মনে রাখতে হবে, বিশ্বের যে কোন ইহুদি ব্যক্তির জন্য ইসরায়েলের দ্বার খোলা রয়েছে, যাতে তারা সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসতি স্থাপন করতে পারে। ইসরায়েলের সীমানার বাইরে বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা ও কার্যকর করার বিশেষ দায়িত্বও পালন করে ‘মোসাদ’। চরম গোপনীয়তার বেড়াজালে মোড়া ‘মোসাদ’ সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। এমনকি এই সংস্থার সদর দপ্তরেরও কোন ঠিকানা বা টেলিফোন নম্বর নেই। কর্মী সংখ্যাও কারো জানা নেই। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র সংস্থার প্রধানের নাম প্রকাশ করা যায়। ‘মোসাদ’ এর ওয়েবসাইটে সামান্য কিছু তথ্য রয়েছে৷ বইটি পড়লে মোসাদের ব্যাপারে আরোও বিস্তারিত জানতে পারবেন।