হামিদুর রহমান-এর জন্ম ২৮ চৈত্র ১৩৫২ বঙ্গাব্দ, ১১ এপ্রিল ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে নেত্রকোনায়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশােনা শুরু হয় বারহাটার সি, কে. পি ইনস্টিটিউশন থেকে। মূলত তিনি একজন নিভৃতচারী লেখক। পিতা মাে. ইসহাক । আলী এবং মাতা আলেকজান বিবি। পৈতৃক নিবাস শুনই, আটপাড়া, নেত্রকোনা। অসংখ্য ছড়া ও গদ্য রচনা করেছেন শিশুদের। জন্য। যা প্রকাশিত হয়েছে তার সময়কার সাহিত্য সাময়িকীগুলােতে। রচনা করেছেন দুই শত-এর বেশি মৌলিক প্রবন্ধ। লােকসাহিত্য নিয়ে রয়েছে তার অসাধারণ পরিশ্রমী সাহিত্যকর্ম। ঐতিহ্য অন্বেষার বােধ ও প্রজ্ঞা নিয়ে গ্রামের নিভৃত কোণে গড়ে তুলেছেন তিনি পাঠের সাম্রাজ্য, সমৃদ্ধ এক আলাের জগৎ-গ্রাম পাঠাগার। গ্রামের নিভৃত পল্লীতে বসে লেখালেখি তার পছন্দের জায়গা। বার্ধক্যে উপনীত হলেও তিনি নবীন, এবং ভালােবাসেন বই ও সাহিত্যকে। প্রতিনিয়তই তিনি লিখছেন নানান অনুষঙ্গ নিয়ে। বর্তমানে নেত্রকোনার লােকসংস্কৃতি নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণামূলক কাজ করছেন। অন্যান্য গ্রন্থ জীবনবৃত্তে (আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা), নান্দনিক ২০১৩ দুষ্ট লীলাবতী (শিশুতােষ ছড়াগ্রন্থ), রাঁচী ২০১৪ মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর (প্রবন্ধ), বিভাস ২০১৬ আটপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস), অয়ন প্রকাশন ২০১৮ নেত্রকোনার বাউল কবি (প্রবন্ধ), ২০১৮
আমিনুর রহমান সুলতান
আমিনুর রহমান সুলতানের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৪, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের খৈরাটি গ্রামে। তিনি বাংলা একাডেমির উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত। তাঁর প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে "সিজন ও মাহির প্রভাত ফেরি", "সকালবেলার পাখি", "ছোটদের বঙ্গবন্ধু", "সোমেন চন্দের ছেলেবেলা", "বাড়ির নাম ৩২ নম্বর", এবং "ভাষা আন্দোলনের কিশোর ইতিহাস"। কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে "জলের সিঁড়িতে পা", "পানসি যাবে না সাঁতার যাবে", "সাধুর কর", এবং "লোকগল্পের কবিতা"। তাঁর গবেষণা ও প্রবন্ধগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত "বাংলাদেশের কবিতা ও উপন্যাস: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা" এবং "শালিহর গণহত্যা"। তিনি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সাহিত্য পুরস্কার (২০১২), হাসান হাফিজুর রহমান সাময়িকী পুরস্কার (২০১১), এবং কবিতা সংক্রান্তি সম্মাননা (২০০৭) সহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।