ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন ১৯৫৪ সালে বিক্রমপুরের শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।মেধাবী ছাত্র মোঃ জয়নায় আবেদীন প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক, ১৯৭২ সালে শ্রীনগর কালেজ থেকে উচ্চ মাধ্যামিক ও ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি, এ পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৭৫ পর্যন্ত পর পর দু্বার শ্রীনগর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কর্মজীবনে (১৯৭৭-২০০৫) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ও (২০০৫-২০০৮) জনতা ও রূপালী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন। তিনি বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও বিক্রমপুর-মুন্সিগঞ্জ সমিতির জীবন সদস্য এবং বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ ‘একাত্তরের শ্রীনগর’ ও ‘কিংবদন্তী পুরুষ আব্দুল হাকিম বিক্রমপুরী’। প্রকাশিত গ্রন্থ শ্রীনগরের জনগন : মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের ডায়েরী ও মুক্তিযুদ্ধে বিক্রমপুরু। জাতীয় পত্রিকা ও সাময়িকীসমূহে শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক ও পেশাগত কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ অতীশ দীপংকর গবেষণা পদক-২০০, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সম্মাননা-২০০৩, মুন্সিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সম্মাননা-২০০৩, শিল্পাচার্য জয়নূল আবেদীন পুরস্কার-২২৫,সালেহীন মেমোরিয়াল এ্যাওয়ার্ড-২০০৫, বাংলাদেশ স্কাউটস লেখক সম্মাননা-২০০৮, বাংলাদেশ নৌকমাণ্ডো এসোসিয়েশন সম্মাননা-২০০৮, জিলানী কমপ্লেক্স (চট্রগ্রাম) গুণীজন সম্মাননা-২০০৮ ও বাংলাদেশ ম্যাগজিন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সম্মননা ২০০৯ লাভ করেছেন।