নন্দিত লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর নতুন বই—
উহুদ যুদ্ধের মর্মস্পর্শী গল্পভাষ্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’
মদিনা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরের উহুদ প্রান্তরে মুখোমুখি হলো নবীজির (সা.) সাহাবি সেনাদল ও মক্কার মূর্তিপূজারী কুরাইশরা। শুরুতে যুদ্ধটা একপেশে মনে হলো। যুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ময়দান ছেড়ে পালাতে শুরু করল ভীতু কুরাইশ বাহিনী। জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হতে লাগল মুসলিম সেনানীরা।
কিন্তু হঠাৎ মুসলিম তিরন্দাজদের সামান্য ভুল পদক্ষেপ। মুহূর্তে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। উহুদ প্রান্তরে শুরু হলো ইতিহাসের এক অসীম লড়াই। রক্তের ফোয়ারায় ভেসে গেল মদিনার পাথুরে জমিন। আর এই রক্তপ্রান্তরে নবীজিকে (সা.) ঘিরে রচিত হলো সাহাবিদের আত্মত্যাগ, সাহসিকতা ও বীরত্বের অমর কিংবদন্তি।
উহুদের সেই কিংবদন্তি নিয়ে এই প্রথম বাংলাভাষায় উপন্যাসের রোমাঞ্চ নিয়ে গল্পভাষ্য লিখেছেন সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর।
ত্যাগ, বীরত্ব আর প্রেমের এক অনন্ত উপাখ্যান মৃত্যুঞ্জয়ী। চোখের সামনে খুলে দেবে গল্পভাষ্যের এক অভিনব দুয়ার। আপনাকে স্বাগতম!
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর পাঠাগ্রহ মূলত ইতিহাস। ইতিহাসের রাজপথ যেমন, তেমনি অসংখ্য গলি-ঘুপচি চষে বেড়াতে ভালােবাসেন। তুলে আনতে চেষ্টা করেন ইতিহাসের আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া অন্য অনেক ইতিহাসকে।
আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। ঐশ্বরিক যে কোনাে জ্ঞান এবং মানবিক বিজ্ঞান তাঁকে। আলােড়িত করে। পাঠাগ্রহের কারণেই তিনি লিখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে। প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন নতুন এক ভাষাভঙ্গি। সাবলীল, প্রাঞ্জল আর সাহসী গদ্য দিয়ে তিনি আমাদের চেনা চিত্রকে দৃশ্যমান করেন নতুন এক উপাখ্যানের আদলে। এটাই তাঁর বিশেষত্ব।
জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে। সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন। বর্তমানে মুক্ত পৃথিবীর মানুষ হিসেবে একমাত্র কাজ-লেখালেখি। যা তিনি করতে ভালােবাসেন।