অজস্র গল্প ছড়িয়ে আছে আমাদের চারপাশে। গল্প আছে আমাদের সবার জীবনেই। তবুও আমরা গল্প শুনতে চাই, জানতে চাই, পড়তে চাই। যখন কোনো গল্পে শনাক্ত করি, আরে, এ তো আমার নিজের অভিজ্ঞতারই অনুরূপ; কিংবা এমনি ঘটনা ঘটে দৈনন্দিন জীবনে, যদিও তা নজর করা হয় নি সেভাবে; অথবা এমনও যে ঘটতে পারে সেটা ভাবা হয় নি ইতিপূর্বে; গল্পটা তখন মন ছুঁয়ে যায়। গল্পের আবেদন এমনই-শাশ্বত। আর গল্পের প্রতি মানুষের টানটাও সহজাত। মাজহারুল ইসলাম গল্প লিখেন গল্পের মতো করেই গল্প থাকে সেখানে। নিটোল গল্প। ভাষার ভারিক্কি কিংবা নিরীক্ষার ঝক্কি তাতে নেই। সরল, সপ্রাণ, মেদহীন, ঝরঝরে গদ্যে গল্প বলে যান তিনি। ক্লান্তি ভিড়তে পারে না পাঠকের করোটিতে। বরং পাঠককে তিনি এক আনন্দভ্রমণে নিয়ে যান, দাঁড় করিয়ে দেন জীবনের নানা চৌকাঠে। পাঠক অভিভূত হন, আপপ্রুত হন ভ্রমণ শেষে। মাজহারুল ইসলামের গল্পগুলো এভাবেই স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। প্রথম গল্পগ্রন্থ ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার গল্প’র মধ্য দিয়ে যে প্রশংসা অর্জন করেন মাজহারুল ইসলাম পাঠক ও বোদ্ধা উভয়ের কাছ থেকে, তা আরও বিস্তৃত হয় তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘জালাল মাস্টারের সংসার’ প্রকাশের পর। আশা করা যায়, তৃতীয় এ গল্পগ্রন্থ ‘মৃতের পাসপোর্ট’ ও একই রকমভাবে সমাদৃত হবে।