মানুষ রহস্য জানতে ভালোবাসে, রহস্য খুঁজতে ভালোবাসে কিন্তু রহস্য উদঘাটন করতে হয়তো মানুষের আগ্রহ একটু বেশি। বরাবরই আদিম কাল থেকে মানুষ রহস্য বুকে নিয়ে বেঁচে এসেছে ঠিকই কিন্তু তারা তাদের অদম্য সাহস নিয়ে সে সকল রহস্য ভেদ অব্দি করেছে। কিন্তু কিছু রহস্য আছে যার কোনো শেষ নেই কারণ তার শুরুটাই হয়েছে শেষ থেকে। সে সকল রহস্য মানুষ কখনোই ভেদ করতে পারেনি। যেমনটা ঐতিহাসিক আলীবাবা ও চল্লিশ চোর গল্পের গুহা কেটে বানানো দরোজার মতন। কি করে সেই দরোজার সৃষ্টি তা কেউ কখনো জানতে পারেনি। তেমনি মৃত সৈনিকের বনবাস উপন্যাসটিতেও ফুটে উঠেছে এমনি কিছু গল্প যা কখনো কখনো রহস্য কেও রহস্যময় করে তোলে। যার সমাপ্তি দেখার জন্যেও মানুষ এভারেস্ট অভিযানের থেকেও অদম্য স্পৃহা নিয়ে বাঁচে, ঠিক তেমনি কিছু রহস্যময় অভিযান আর ভৌতিক কিছু জীবন্মৃত ঘটনা দিয়ে সাজানো এই উপন্যাসটি। এখানে ফুটে উঠেছে চারজন ছেলে-মেয়ের এক একটা রহস্যময় জীবনের অভিযান যারা এ গল্পের মূল চরিত্রকে ব্যবহার করে তাদের জীবনের সেই রহস্যময় তালার চাবিটাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে এখানে সেখানে। খুঁজতে গিয়েই তারা সম্মুখীন হয় ঐতিহাসিক কালের একটা অমীমাংসিত রহস্যময় গল্পের সাথে। যাদের হাত ধরেই তারা ছুঁতে চেয়েছিলো তাদের জীবনের সেই রহস্যময় চাবি। দেখা গেলো তারা আগ বাড়িয়ে এসে ছুঁয়ে দিয়েছে তাদের গুপ্ত চিন্তা ভাবনাকে। তাদের জীবনের চড়াই-উতরাই কে হার মানিয়ে পুনর্জন্ম করেছে কিছু সৈনিক যারা তাদের মৃত্যু রহস্য আজও বাতাসে বাতাসে খুঁজে বেড়ায়। তাদের এ রহস্য খুঁজে বেড়ানোর আকাঙ্খা তাদেরকে করে তুলেছে পিশাচ আর তারা সেই পিশাচ শক্তিকে ব্যবহার করে হয়ে উঠেছে নৃশংস। কিন্তু কেউতো আছে যারা এগিয়ে এসেছে তাদের রহস্য সমাধানে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায়, যারা যারা তাদের সাথে ছিলো মৃত সৈনিকদের বনবাস থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তারাই একসময় তাদের স্বার্থ বুঝে নিয়ে তাদেরকে আবারো জীবন - মৃত্যুর এক মাঝামাঝি থাকা সময়ের মাঝে বনবাসে পাঠিয়ে দেয়। তবে কারা তারা? আর কেনোই বা তাদের এই রূপ? ওরা কি পারবে মৃত সৈনিকদের বনবাস থেকে মুক্তি দিতে? নাকি মুক্তি দিতে গিয়েও জড়িয়ে পড়বে আরও কিছু রহস্যের বেড়াজালে?
রহস্যকে উন্মোচন করতে নেই। রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে দেখা যায় আরও কিছু রহস্য এসে হাজির হয় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে।