রম্য রচনা নয়, বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্পগুলো লেখা। এই ঘটনাগুলো আজও আমাকে তাড়া করে, কোনটা সুখকর অনুভূতি দেয় আবার কোনটা দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙ্গায়। সে ঘটনাগুলো থেকে যাক বইয়ের পাতায়। কিছু গল্পে একই নামে চরিত্র আছে, মজিদ নামেন। এঁরা একই ব্যক্তি নয়, আবার সম্পর্কিত নয়; সত্যিকারের চরিত্রকে ঢাকতে আমি রূপক নাম ব্যবহার করেছি। ২০২৩ সালে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে যে ডিজিটাল সন্ত্রাসী হামলা হয়, সেটার অন্যতম ভিক্টিম এই মজিদ চাচা। বিদ্যানন্দের পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত রূপক নাম হওয়ার দোষে সারাদেশে মজিদ নামে অনেক মানুষকে ট্রলের শিকার হতে হয়েছে। আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী মানুষেরা বঞ্চিত হয়েছে দূর্যোগের সময়ের সাহায্য থেকে। রূপক নামের প্রয়োগ দেখাতে আমি এই বইয়ে মজিদ নামটিই বেশি ব্যবহার করেছি। ট্রলে অটল থাকা কিছু স্বেচ্ছাসেবক শিখিয়েছে কীভাবে ট্রল থেকে নিত্যনতুন আইডিয়া পাওয়া যায়, যে বাঁশ সমালোচকরা দিয়েছেন, সে বাঁশটাই বিক্রির ব্যবস্থা করেছি এই সমাজে। প্রতিষ্ঠিত প্রচ্ছদ শিল্পীর পরিবর্তে আমি পাবনার মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিছু রোগীর আঁকা ছবিতে বইটি মুড়িয়েছি। এঁদের আঁকা ছবিগুলোকে চার দেয়ালের বাইরে আনতে চেয়েছি, আপনার আদরের স্পর্শ দিতে চেয়েছি। -কিশোর কুমার দাস